পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দেশীয় দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ২৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আজকের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ১৯০ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর জন্য এই সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৭২ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের ক্রয় মূল্য ছিলো ১৭৭ টাকা। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এই সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ইউএন ট্রেডিং, ঢাকার কাছ থেকে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৮৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৭২ টাকা ৮০ পয়সা। আগের ক্রয় মূল্য ছিলো ১৭৮ টাকা ৪৫ পয়সা। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এই সয়াবিন তেল কেনা হবে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিটি এডিবল অয়েল থেকে ১৯১ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার টাকায় ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই সভায় তুরস্কের আরবিল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক কোম্পানি থেকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৭৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনারও অনুমোদন দেওয়া হয়। তারও আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি থেকে ১৯৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও তুরস্কের আরবিল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক থেকে ৭৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায় ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া গত ১ ফেব্রুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে টিসিবি স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয় ১৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তার আগে গত ১৯ জানুয়ারি টিসিবির জন্য শুন শিং এডিবল ওয়েল থেকে ২০০ কোটি ২০ লাখ টাকায় ১০ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সেনা এডিবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকার ৪৪ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শুন শিং এডিবল অয়েল থেকে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওই সভায় আন্তর্জাতিক ক্রয় পদ্ধতিতে ওমানের জাদ আল রাহিল ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি সুলতানাত থেকে ১৫১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। অপরদিকে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আরবেল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক এএস থেকে ৮১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় ৮ হাজার মে.টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বর্তমানে ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ডের আওতায় একজনের কাছে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, ১ কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয়। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।