Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফায়ার সেফটি না মানা ভবনে আগামী সপ্তাহ থেকে যৌথ অভিযান

সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০৩ এএম

ফায়ার সেফটি আইন না মানা ভবনগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মিলে এই অভিযান চালাবে ফায়ার সার্ভিস। আগামী সপ্তাহ থেকে রাজধানীতে অভিযান শুরু হবে। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ফুলবাড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। তুরস্কে ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজ শেষে ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি দলের দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলেন ডিজি।
ডিজি বলেন, যে কোনো কিছু বাস্তবায়ন করতে কিছুটা সময় লাগে। আগামী সপ্তাহে আপনারা এর বাস্তবায়ন দেখতে পারবেন। প্রথমে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা অভিযানে যাবো। যেসব ভবনে ফায়ার সেফটি আইন মানা হয়নি সে বিষয় আমরা দেখবো। আর অন্য বিষয়গুলো দেখবে নির্ধারিত ডিপার্টমেন্ট।
ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, বাংলাদেশে ভূমিকম্প হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন। আমাদের ১৪ হাজার কর্মীর সবাই প্রশিক্ষিত। তাদের প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি, এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের উন্নত যন্ত্রপাতিও আছে। তবে বড় দুর্যোগের ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই যথেষ্ট না। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যারা আমাদের সহযোগী সংস্থা রয়েছে, তাদের সঙ্গে কাজ করছি। এমন কোনো ঘটনা যদি ঘটে আমাদের প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ ও মহড়াগুলো অব্যাহত রাখছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের রাজধানী কতটা পরিকল্পিত এ উত্তরটা আপনাদের কাছে আছে। আমার বিষয় হচ্ছে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমি কতটুকু তৈরি। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১৪ হাজারের বেশি কর্মীর সবাই প্রশিক্ষিত। আমাদের ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির টার্গেট ছিল, এরমধ্যে ৫০ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরি করেছি। তারা আবার অন্যদের প্রশিক্ষিত করছেন।
ঢাকা শহরে অনেক ভবন রয়েছে। কোথাও আবার রাস্তা সরু। ফলে দুর্যোগের সময় এসব এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের প্রবেশে সমস্যা হয়। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ঢাকায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ হলে আমরা ঢুকতে পারবো কি-না সেটা বিষয় না। আমাদের ঢুকতেই হবে। এজন্যই প্রশিক্ষণ। তাই এমন কিছু হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না এমন কোনো ঘটনা ঘটুক। কিন্তু প্রস্তুতি নিতে হবে। বিল্ডিং কোড অনুযায়ী যেসব ভবন হয়নি, সেগুলো শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ করছি আমরা। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন ও রাজউকের সঙ্গে কাজ করছি। আমার যে এখতিয়ার আছে সিটি করপোরেশন ও রাজউকের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এক লাখের ওপরে পোশাককর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রত্যেকে তাদের পরিবার ও নিজ কমিউনিটিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। স্কুল-কলেজে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এমন কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত চেষ্টা করতে হবে। আমাদের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, যেটা নাই তার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি।
পুরান ঢাকায় অবৈধ কেমিক্যালের দোকানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাজ অগ্নিনির্বাপণ করা, কারখানা সরানোর কাজ আমার নয়। নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর ওই এলাকায় এমন কোনো দোকানের লাইসেন্স দিচ্ছি না। যা আছে সেগুলো অবৈধভাবে হচ্ছে।
তুরস্কে উদ্ধার অভিযান শেষে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি দলের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিনিধিদল উদ্ধার অভিযান শেষ করে দেশে ফিরেছে। তুরস্কে তাদের কাজ করার সুযোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আজকের দিনে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের পতাকা সুনামের সঙ্গে উড়ছে। প্রথমবারের মতো ফায়ার সার্ভিস দেশের বাইরে উদ্ধার অভিযানে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ