পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ভিসা, দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট ও ভিসা-পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম এবং ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে লিবিয়ায় চারজন ও দেশের ভেতরে দু’জন অপহৃতকে উদ্ধার করে র্যাব।
গতকাল বুধবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল আনোয়ার জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর লিবিয়ায় এক অপহৃতের বড় ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ ঢাকার সবুজবাগের মো. ওয়াহেদুর রহমান (৩২), সুব্রত দাশ (২৬), জামান জালালী (৪৪) নারায়ণগঞ্জের মো. হানিফ (৩০), ঢাকা কদমতলীর ওমর ফারুক ওরফে মিলন (৩৫), খিলগাঁওয়ের রমজান আলী (৩২), রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক (৫৭), মোয়াজ্জল হোসেন (৪২), খায়রুল আলম (৩৭), বাড্ডার ফকরুল ইসলাম (৪৪), গাজীপুরের আবু তালেব (৪০), মতিঝিলের ফকরুল ইসলাম (৩৫), সিদ্দিরগঞ্জের হাসান মিয়া (৩১), মুগদার রাজবীর হোসেন ওরফে রকিবুল হাসান ওরফে রাব্বি (২২), ফকরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (২৫), নোয়াখালীর আকতার হোসেন ওরফে সুমন (২৭)। তাদের কাছ থেকে ২১টি পাসপোর্ট, ১৯৮১টি বিভিন্ন দেশের জাল ভিসা, একটি আইডি কার্ড মেশিন, ১৬টি ফয়েল মেশিন, একটি ফটোকপি মেশিন, চারটি প্রিন্টার, একটি কম্পিউটার মনিটর, দুইটি লেমিনেটিং মেশিন, একটি সিপিইউ, এক কার্টন রিবন, ২০টি কাঠের ফ্রেম, ১০১টি সিল মোহর, ১০টি স্ট্যাম্প প্যাড, একটি স্ক্যানার মেশিন, একটি ল্যাগেজ, একটি মেশিন বহনকারী ট্রলি, ৮শ’৫০টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফরম, ৩৫টি কুয়েতি দিনার স্টিকার, সাতটি বিএমইটি ইমিগ্রেশন জাল কার্ড, পাঁচটি জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, সাতটি মোবাইল ফোন, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড, একটি মানি ডিটেক্টর মেশিন ও নগদ ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৮ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, এই চক্রটি ২০০৭ সাল থেকে অবৈধভাবে নিরীহ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। অধিক অর্থ উপার্জনের লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়ায় প্রেরণ করে। লিবিয়ায় অবস্থিত জালিয়াত চক্রের প্রতিনিধি ও কয়েকজন লিবিয়ান নাগরিক মিলে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া লোকদের অপহরণ করে। অপহরণের পর আটক রেখে তাদের অত্যাচার করা হয় এবং এই সংবাদ পরিবারকে দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে। বাংলাদেশে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তাদেরই একটি চক্র টাকা গ্রহণ করে। এভাবেই তারা দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ করে আসছিল।
এদিকে উদ্ধারকৃত ছয়জনের মধ্যে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হেফাজতে চারজন ও র্যাব-৩ এর হেফাজতে দু’জন রয়েছেন। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হেফাজতে রয়েছেন কিশোরগঞ্জের মো. সোহেল (২০), সিলেটের মো. জোবায়ের (২২), জামালপুরের মো. ফজলুল হক (৪০), নোয়াখালীর মো. জহির (২৫)। এছাড়া র্যাব-৩ এর হেফাজতে আছেন শরিয়তপুরের মো. রোমান (১৯) ও সিলেটের মামুনুর রশিদ চোধুরী (২২)। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।