প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : আব্বা বেঁচে থাকা অবস্থায়, অভাবের কারণে আমার আব্বা তার নাতনি (আমার ভাগ্নি) কে বাড়িতে নিয়ে এসে কয়েক বছর লালন পালন করার পর তাকে বিয়ে দিয়ে দেন। এ সময় আমার আব্বা ১৫ শতক জমি বিক্রি করে প্রাপ্য টাকা পাত্রপক্ষকে যৌতুক হিসাবে দেন। এখন আমার আব্বা - মা বেঁচে নেই। তাই আমার বোন জমির অংশ চায়। তাই আমি বোনকে বলেছি যে, তুমি যে জমির অংশ পাবা তা থেকে তোমার মেয়ে কে বিয়ে দেবার সময় আব্বা যে ১৫ শতক জমি বিক্রি করেছিল সেই ১৫ শতক জমি তোমার মোট পাওনা জমি থেকে কম নিতে হবে বা বাদ দিতে হবে। এখন আমি কি উক্ত ১৫ শতক জমি হিসেবে ধরে আমার বোনকে তার পাওনা মোট জমির অংশ থেকে বোনকে কম দিতে পারবো বা বাদ দিতে পারবো? ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তা কি হারাম হবে? উল্লেখ্য যে, আমার আব্বা এ বিষয়ে কিছুই বলে যায়নি।
উত্তর : আইনত আপনি এ জমি বাদ দিতে পারেন না। কারণ আপনার আব্বা তার জীবদ্দশায় নিজ মালিকানাধীন সম্পদ তার নাতনি পেছনে ব্যয় করেছেন। তিনি বলেন নি যে, এ সম্পদ ওয়ারিশি সূত্রে দিলাম। এখন যদি আপনার বোন আপসে এই খরচটিকে নিজের প্রাপ্য সম্পদ থেকে কেটে দেন, তাহলে তিনি তা পারেন। এবং এটি বিবেচনা করা তার উচিত। আপনারা আপসে মিমাংসা করে নিলে শরীয়তে কোনো বাধা নেই। আর যদি তারা না মানে, তাহলে ওই সম্পদ বাদ দিয়েই নতুন হিসাব হবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।