পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের মন্দকাজের সমালোচনা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্র মানে জনগণের তন্ত্র, প্রজাদের তন্ত্র। রাজতন্ত্র নয়। প্রজারা সেখানে দেশ চালাবে। জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি ঠিক করবে। সেই প্রতিনিধি তাদের কথামতো দেশ চালাবে। গতকাল মঙ্গলবার ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জিএম কাদের বলেন, সরকারের সমালোচনা করা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নয়, এটা তাদের দায়িত্ব। তাদের প্রতিনিধিকে বলতে হবে যে আমি কি চাই। প্রতিনিধি কথা শুনছে কি শুনছে না, সেটা অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচনে গিয়ে আপনারা তাকে পরিবর্তন করবেন। এটাই হলো গণতন্ত্র। এ সময় জিএম কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, এই গণতন্ত্র কি এখন আমাদের দেশে আছে? এ সময় জাপা নেতাকর্মীরা উচ্চস্বরে তার কথার জবাবে বলেন, না।
জাপা চেয়ারম্যান প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা কি প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন? প্রতিনিধি কি আপনাদের কথা শুনতে চায়? তিনি বলেন, যখন কথা বলেন তখন কণ্ঠরোধ করার ব্যবস্থা করা হয়। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে মনে হয় রাষ্ট্রবিরোধী কথা। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বললে, রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি করলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ। সরকার রাষ্ট্রের কর্মচারী। একইসঙ্গে পুলিশ, আর্মি, বিজিবিÑএরা সবাই রাষ্ট্রের কর্মচারী। এরা সরকারকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে দেশ পরিচালনায় সাহায্য করে। এটা তাদের দায়িত্ব। তারা কিন্তু সরকারের লোক নয়। তারা সরকারকে সাহায্য করার জন্য আছে। তিনি বলেন, দলীয়করণ করে এখন রাষ্ট্র হয়ে গেছে সরকারের দলের। রাষ্ট্র এখন সরকারের মতো আচরণ করছে। রাষ্ট্রের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এখন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মতো কাজ করছে। যার জন্য দেশের মানুষ রক্ত দিলো, যার জন্যে দেশ স্বাধীন হলো, সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ এখন কোথায় গেল?
জিএম কাদের বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে দেশের জনগণের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় যায়। ক্ষমতায় যাওয়ার পরে তারা আর ফিরে তাকায় না। এই কথাগুলো তারা আর মনে রাখে না। তারা ক্ষমতার বাইরে গেলে এককথা বলে, ক্ষমতায় গেলে এককথা বলে, আবার ক্ষমতার বাইরে গেলে আরেক কথা বলে। এটা আমাদের দেশের রাজনৈতিক চরিত্র। আমরা রাজনৈতিকভাবে যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যে প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ তাদের নেতা নির্বাচন করছেন, প্রত্যাশা পূরণে এসব রাজনীতিকরা ব্যর্থ হচ্ছেন।
জিএম কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উন্নয়নে একটি বিল্ডিং হয়েছে, তারা কি কাজ করছে তা আমরা জানতে পারছি না। এই সরকারের কৃতিত্ব শুধু বিল্ডিং আর কমিশন। জনগণের কথা বলার অধিকার নেই। গণমাধ্যম বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। একতরফাভাবে খবর দেয়া হচ্ছে। দেশে ডলার সংকট চলছে। কাঁচামালের অভাবে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ সংসার চালাতে পারছে না। একটি শ্রেণি দেশের ৯০ ভাগ সম্পদ লুটপাট করছে। আর মাত্র ১০ ভাগ সম্পদের ভোগ করছেন দেশের বেশির ভাগ মানুষ।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।