পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরকার জানতে পেরেছে, বর্তমানে দেশে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র আসছে। এ অবৈধ ও বেআইনি অস্ত্র উদ্বেগজনক। এ জন্য সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভা হয়। শেষে সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্ত জানান কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ কয়েকজন মন্ত্রী, সচিব এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে রিপোর্ট এসেছে, বর্তমানে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র এ দেশে আসছে। অনেকেই জাল লাইসেন্স বানিয়ে নিয়েছে। সে জন্য লাইসেন্স যাচাই-বাছাই এবং অবৈধ অস্ত্র ধরার জন্য বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে আছে, সেসব অঞ্চলে অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান করতে বলা হয়েছে। চোরাকারবারি বা যাদের বিষয়ে তথ্য থাকবে, তাদের ঘিরেই অভিযান হবে। সাধারণ মানুষ যেন ভীতসন্ত্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রমজান মাসে ভেজাল রোধে যেন সব সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান যেন ঠিক থাকে, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সভায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি বলেন, মাদক জাতির জন্য বড় উদ্বেগের ব্যাপার। মাদক নিয়ন্ত্রণে কলাকৌশল বৃদ্ধি করার জন্য বলা হয়েছে। মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের তালিকা করা হবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তালিকা হবে। সেগুলো জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে যাচাই করে একটি তালিকা করা হব। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তা প্রকাশ করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কিছু যাতে না ঘটে, বিষয়ে সচেতন হতে বলা হয় সভা থেকে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর অনেকে অনেক দিবাস্বপ্ন দেখেছেন। মানুষ আতঙ্কিত ছিল যে কী করে, কী ঘটে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে, সফলতার সঙ্গে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। বর্তমানে বরাবরের মতোই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সে জন্য সভা থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যর্থ। আইনশৃঙ্খলে কমিটি বারবার চেষ্টা করেছে। যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা চ্যানেলকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে তারা তেমন কোনো সাড়া দেয় না। তার প্রধান কারণ হিসেবে আমরা ধরেছি, তাদের কোনো অফিস না থাকাতে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ সেভাবে করতে পারি না।
তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে এসব চ্যানেলের অফিস আছে, সেখানে কোনো অন্যায় হলে জবাবদিহি করতে হয়। অথচ আমাদের দেশে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। যদি তাদের অফিস থাকতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতো। আইনানুগভাবে যে একটা প্রতিকার নাগরিক পেতে পারে। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা চাই এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক। যাতে আমরা প্রচলিত আইনের মাধ্যমে থেকে মিথ্যাচার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা কত টাকা পেলো তার স্টেটম্যান্ট দিতে হবে। একই সঙ্গে কত টাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করে, আর কত টাকা বিতরণের সময় কর্তকর্তাদের ব্যয় কত, সে হিসাব দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য কত টাকা আসলো সেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখি। সেখানে একজন রোহিঙ্গা ১২ ডলার করে পায়। এরপর কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাদে কিছু খরচ করে কি না। কারণ অভিযোগ আসছে, সেটা তদন্ত করার জন্য এটা লাগবে। কারণ অভিযোগ আছে তারা উগ্রবাদিদের অর্থায়ন করে। সেটা পরিষ্কার হওয়ার জন্য এটা লাগবে। আইনানুগভাবে যেটা সম্ভব তাদের হিসাবপত্র জানতে চাওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।