Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কালশী ফ্লাইওভার খুলছে আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

রাজধানীর মিরপুরের কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন। কালশী বালুর মাঠে ওই দিন সকাল ১০টায় ফ্লাইওভার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে একটি জনসভারও আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের এমন উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে পুরো নগরীর যানজট সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লাইওভার প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর মিরপুর থেকে বিমানবন্দর, উত্তরা ও টঙ্গী হয়ে উত্তর দিকে যাওয়ার জন্য কালশী হয়ে জিয়া কলোনি পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এখন প্রায় প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার যানবাহন এই সড়কে চলাচল করছে। এ ছাড়া ওই এলাকার সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক গড়ে উঠছে। মিরপুর এলাকায় যানবাহনের চাপ কমাতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওপর দিয়ে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা, মহাখালী ও রামপুরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ। আর প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করেছে ডিএনসিসি। উদ্বোধনের পর প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করবে ডিএনসিসি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিরপুরের কালশী এলাকাটি খুব ব্যস্ত এলাকা। রাস্তা হওয়ার পর এয়ারপোর্ট, বাড্ডা এই এলাকার মানুষের যাতায়াত বাড়ে, কিন্তু কালশীর মোড়টা সরু থাকায় সব সময় জ্যাম লেগেই থাকত। বাসের উচ্চশব্দ, চলাফেরা সব দিক দিয়েই কষ্টকর ছিল। এই ফ্লাইওভার চালু হলে এসব সমস্যা দূর হবে।

জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির নির্মাণকাজের দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মিরপুরের ইসিবি চত্বর থেকে কালশী মোড়, মিরপুর ডিওএইচএস ও মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় নির্মিত এই ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার। ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা, মহাখালী ও রামপুরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। বাড়বে সড়কে যানবাহনের ধারণক্ষমতা। মিরপুর থেকে ১০ থেকে ১৫ মিনিটে যাওয়া যাবে বিমানবন্দর এলাকায়। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের পাশাপাশি সড়ক, ফুটপাথ এবং ড্রেনের উন্নয়ন কাজও করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্পটি অনুমোদন করে সরকার। নির্মাণের সময়কাল নির্ধারণ করা হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক, ফুটপাথ প্রশস্তকরণ, সড়ক বিভাজক তৈরি এবং ড্রেন নির্মাণ ও কমিউনিকেশন ডাক্টও তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, কালশী ফ্লাইওভার মিরপুরবাসীর জন্য বসন্তের উপহার। ফ্লাইওভারটি চালুর পর প্রতিদিনের যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে মিরপুরের বাসিন্দারা। বিমানবন্দর এলাকা থেকে মিরপুর যেতে এলাকাবাসীকে অনেক যানজট পোহাতে হতো। মিরপুরবাসীর অনেক কষ্ট হতো। এই ফ্লাইওভারটি চালু হলে তাদের যাতায়াত সহজ হবে। যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এলাকায় প্রশস্ত রাস্তা ও ফুটপাথ করা হয়েছে। হাঁটাচলায় অনেক সুবিধা হবে। আমরা এত দারুণ ফুটপাথ করেছি, সড়কবাতি লাগিয়েছি, ফ্লাইওভার বানিয়েছি। এলাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ থাকবে কেউ যেন তাতে পোস্টার লাগিয়ে এর সৌন্দর্যহানি না করেন।



 

Show all comments
  • Junayed Ahmed ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৯ এএম says : 0
    আমাদের বাংলাদেশের ফ্লাইওভার গুলো তে কেন পেইন্ট করা হয় না আমি সৌদি আরবে দেখেছি তাঁদের দেশের প্রত্যেকটি ফ্লাই ওভার এ সুন্দর ভাবে পেইন্ট করা হয় আমাদের এতো টাকা খরচ করে ফ্লাইওভার তৈরি করা হয় অন্তত রোদ বৃষ্টি ধুলো বালি দুষণ থেকে বাঁচাতে ফ্লাই ওভার গুলো রঙ করা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Shakawat Hosen ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৮ এএম says : 0
    ঢাকার মিরপুরের মধ্যে সবচেয়ে উন্নয়ন বেশি হইছে এগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা আমাদের সবারই ইমানি দায়িত্ব
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Al-Amin ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৮ এএম says : 0
    এখানের ফ্লাইওভার এর চেয়ে বিজয় সরনী চৌরাস্তার একটা ব্যবস্থা করা উচিৎ। ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় মানুষের এই একটা সিগন্যাল এর জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Alamgir ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৯ এএম says : 0
    উদ্বোধনের সময় কি পরিস্কার! এর পর ফ্লাইওভার এর উপর ধুলা ময়লা। এই ধুলা দিন রাত শুধু বাতাসে উড়ে..বনানী ক্যান্টনমেন্ট এর ফ্লাইওভার এর নিচে কি সুন্দর, অথচ উপরে ফ্লাইওভারে শুধু ধুলা। ঢাকা এখন প্রতিদিনই দূষণে প্রথম হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Tony Leo ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১০ এএম says : 0
    কালশী ফ্লাইওভার পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় একটি প্রজেক্ট। শুধু মাত্র চোখ ধাঁধানো নগরায়নের আমেজ আনার জন্যেই বানানো। এখানে ফ্লাইওভারের দরকার ছিলোনা, এবং যেভাবে ফ্লাইওভার বানানো হয়েছে তাতে এর থাকা না থাকা সমান ব্যাপার।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan Bakar ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১০ এএম says : 0
    কুড়িল ফ্লাইওভারের নীচ দিয়ে যে ফুটওভার ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল কয়েকবছর আগে কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ফ্লাইওভার চালু হলেও কয়েকটি পিলার আর সামান্য সিড়ি ছাড়া ফুটওভার ব্রীজের পুরা কাজই অসমাপ্ত হয়ে পড়ে আছে। মানুষ কুড়িল বিশ্বরোড পাড় হচ্ছে জীবনের ঝুকি নিয়েই!!! আর ফ্লাইওভারের চারিদিকে অসমাপ্ত কর্মকান্ড ও দখলদারদের স্বর্গরাজ্য!?!? ফ্লাইওভারের দুইধারের লাইটিং-এর বেহাল দশা!
    Total Reply(0) Reply
  • Younus Miah ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১০ এএম says : 0
    এই ফ্লাইওভার টি মিরপুরের স্বানীয় বাসিন্দাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি অনেকাংশই কমে আসবে। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সকলকে। জয়বাংলা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ