পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভাষা কেবলই বাঙালির একটি সাংস্কৃতিক উপাদান ছিলো না। বরং এটি ছিলো এই অঞ্চলের মানুষের মায়ের ভাষা। বাংলা ভাষাতেই পূর্ব বাংলার মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতো। কিন্তু ১৯৪৭ সালের বিভক্ত হওয়া বাংলায় রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে আসে মতদ্বৈততা। তাই পূর্ব পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে আন্দোলন শুরু করে বাঙালিরা। প্রথম দিকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই আন্দোলন চলতে থাকলেও ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রæয়ারি তা বিস্ফোরণ হয়।
১৪৪ ধারা জারি করেও শাসক শ্রেণী জনগণের সেই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারেননি। বরং ভাষার প্রশ্নে সেদিন ছাত্রজনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। তাদের সেই মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে পুলিশ। আর এতে শহীদ হন দেশের বীর বাঙালিরা। তবে ফেব্রæয়ারির শুরু থেকেই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন ছাত্ররা। প্রতিদিনই এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ১৪৪ ধারা জারি করার পর থেকে ক্ষোভ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর তাই আগের কয়েকদিনের মতো ১৮ ফেব্রæয়ারিও ছিল টান টান উত্তেজনা। ২১ ফেরুয়ারির কর্মসূচি সফল করতে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল ছাত্ররা। প্রকাশ্যে ও গোপনে চলছিল বিভিন্ন তৎপরতা।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০ ও ২১ ফেব্রæয়ারির গভীর রাতে ফজলুল হক হল ও ঢাকা হলের (বর্তমানে শহীদুল্লাহ হল) মাঝখানের পুকুরপাড়ে ঐতিহাসিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসে, কোন অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা মানা হবে না। ২১ ফেব্রæয়ারি রাজপথে থাকবে ছাত্ররা। সেদিনের পসই ঘটনা বিশদভাবে এসেছে বশীর আলহেলালের ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’ গ্রন্থে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।