পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ জুমআর নামাজ শেষে সমবেত জনতাকে তওবা পড়িয়ে বাইয়াত করিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তার ভক্ত মুরীদানকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদায় সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনের পাশাপাশি নিয়মিত তরীকা মশক করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন এবং ভবিষ্যতে আমলী জিন্দেগী গঠন করার প্রতি উৎসাহিত করেন। কারণ একজন কামিল মু’মিন হওয়ার জন্য তরীকা মশকের কোনো বিকল্প নেই।
গতকাল দক্ষিণবঙ্গীয় সর্ববৃহৎ ইসলামী সমাবেশ বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলাধীন আমড়াগাছিয়া হুসাইনপুরস্থ খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ঈছালে ছাওয়াব মাহফিলের শেষ দিন বাদ জুমআ আখেরী মুনাজাতের পূর্বে প্রধান অতিথির আলোচনায় একথা বলেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পার্শ্বে প্রায় একশ’ একর অখণ্ড বিশাল জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত আমড়াগাছিয়া খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সে তিন লক্ষাধিক লোক পবিত্র জুমআর নামাজে অংশগ্রহণের জন্য আশেপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হতে বাস-ট্রাক, নসিমন, অটোরিক্সা, মটরসাইকেল রিজার্ভ করে উপস্থিত হয়। এতে মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত জ্যাম হয়ে থাকে। জুমআর নামাজে ইমামতি করেন ছারছীনা দরবার শরীফের ভবিষ্যত কর্ণধার বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-ই-নেছারিয় দীনিয়ার সম্মানিত রঈস আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন।
জুমআর নামাজের পর বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমীর হযরত পীর ছাহেবের পক্ষে সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন বলেন- আমরা কোনো দলীয় রাজনীতি করি না, তার মানে এই নয় যে, আমরা ইসলাম চাই না। আজ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক সূক্ষ¥ পাঁয়তারা চলছে। ডারউইনের মতবাদ দিয়ে এ দেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে যা কোনো মুসলমানই মেনে নেয়নি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এসব বই সাময়িক বাতিল করলে চলবে না, সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে পুনরায় ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে হবে। আমাদের দাবি আমরা করে যাবো, আমরা কখনো রাস্তাঘাট অবরোধ, ভাংচুর করি না এবং করবো না।
মাহফিলের ২য় দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন। তিনি বলেন- আমরা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ বংশানুক্রমে ছারছীনা দরবার শরীফের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি দেশ মাতৃকার কল্যাণে ছারছীনা দরবার শরীফের গৃহীত ঐতিহাসিক কয়েকটি অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, ছারছীনা দরবার শরীফ সর্বদাই পজিটিভ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। এটা প্রমাণিত সত্য।
পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। এতে লাখো লাখো মুসুল্লি অশ্রুসিক্ত নয়নে নিজ নিজ গোনাহরাশী মাফ চেয়ে রোনাজারী করতে থাকে। এ সময়ে সমবেত জনতার আমীন আমীন ধ্বনীতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মুনাজাতে হযরত পীর ছাহেব দেশবাসীর সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন ও সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে শাহাদত বরণকারীদের জন্য দোয়া কামনা ও আহত এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকলের রহমত ও হেফাজত কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।