Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলসি জটিলতায় রামপালে উৎপাদন ফের বন্ধের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:৪১ এএম

কয়লা সংকটে এক মাস বন্ধ থাকার পর গত বুধবার ফের উৎপাদন শুরু করেছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট। কিন্তু এলসি (ঋণপত্র) খোলার জটিলতা স্বাভাবিক না হলে কয়লা সংকটে এপ্রিলের পর আবারও কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রটির প্রকল্প পরিচালক সুভাস চন্দ্র পান্ডে। গতকাল রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প অফিসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি।
সুভাস চন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘এখন পাইপলাইনে যে কয়লা রয়েছে, সেটি দিয়ে কেন্দ্রটির একটি ইউনিট আগামী এপ্রিল পর্যন্ত চালানো সম্ভব। এর মধ্যে এলসি জটিলতা না কাটলে কয়লা আমদানি ব্যাহত হবে। ফলে কেন্দ্রটি চালু রাখা সম্ভব হবে না।’
কয়লা খালাসের জেটির সক্ষমতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘জেটির সক্ষমতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তিনটি জেটি থেকে দৈনিক আনলোড করার সক্ষমতা রয়েছে ১২ হাজার টন, কিন্তু একটি ইউনিটে কয়লার প্রয়োজন হচ্ছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টন। জুনে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে দুই ইউনিটে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন হবে ৯ হাজার টন। সে হিসাবে প্রয়োজনের চেয়ে কয়লা আনলোড করার সক্ষমতা বেশি।’
সুভাস চন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ পড়ছে প্রতি ইউনিট ১৩ থেকে ১৪ টাকা। সামনে বিশ্ববাজারে কয়লার দাম কমে এলে উৎপাদন খরচও কমে আসবে।’ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামগ্রিক কাজের অগ্রগতির বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘পুরো বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামগ্রিক কাজের অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। একটি ইউনিটের কাজ শেষ করে ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন আগামী জুনে শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এক মাস বন্ধ থাকার বিষয়ে সুভাস চন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘ডলার সংকটে এলসি খোলা যায়নি, যার কারণে কয়লার অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রাখতে হয়। এখন কয়লার সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ফের কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। আশা করছি, এলসি জটিলতা না থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারব।’
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক মাস বন্ধ থাকার পর গত বুধবার রাত ১১টা ৩ মিনিটের সময় ফের উৎপাদন শুরু করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রটি থেকে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। পর্যায়ক্রমে উৎপাদন আরও বাড়বে।
জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি কয়লাবাহী জাহাজ ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। গত ১৭ ডিসেম্বর রাত থেকে জাতীয় গ্রিডে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ