পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা শিপইয়ার্ডে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ওয়েল্ডিং ল্যাব সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে আধুনিক প্রশিক্ষণ নিয়ে তরুণরা দেশের বাইরের শ্রম বাজারে নিজেদের কর্মদক্ষতার ছাপ রাখতে সক্ষম হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে উত্তরণ অ্যাডভান্সড ওয়েল্ডিং ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই উত্তরণ প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে শেভরন এবং বাস্তবায়নে রয়েছে সুইসকন্ট্যাক্ট।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ। তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিয়েছে তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত করতে। আমরা যাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি তারা প্রায় সবাই প্রশিক্ষিত হয়ে দেশের বাইরে কাজ করবে। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। শেভরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর ৬০ দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের এই প্রয়াসে তরুণরাও আন্তর্জাতিকমানের সার্টিফিকেট পেয়ে পৃথিবীর অনেক দেশে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। দক্ষ শ্রম বাজারে সুনামের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করবে আমাদের যুবরা। এসময় শেভরনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম ওয়াকার বলেন, শেভরন বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে কাজ করছে। প্রায় ৬০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস এই কোম্পানী উত্তোলন করছে। এই দেশের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে আমরাও উৎসাহী। আমি এই অত্যাধুনিক ল্যাবের নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধন্যবাদ জানাই। শেভরনের জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট এফেয়ার্স ইউরোএশিয়া এবং ইউরোপ) জামিরা ক্যানাপিয়ানোভা বলেন, শেভরন বিশ্বাস করে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা সব দেশের জন্যই মূল্যবান। কিন্তু উত্তরণের এই প্রকল্পটি দেশের তরুণদের টেকনিক্যাল দক্ষতায় নজর দিয়েছে। এই প্রকল্পের অধীন ৯০০ মানুষ দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হয়েছে। যার মধ্যে ২৪ ভাগ নারী আছে। তরুণদের মধ্যে এই ধরনের কর্মযজ্ঞ চালু করতে পেরে আমরা সত্যিই খুশি।
অনুষ্ঠানে আবুল কালাম আজাদ বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার। যেখানে শুধু প্রশিক্ষণই নয়, অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়। মোট ৮ ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তরুণ প্রশিক্ষণার্থীদের। যার একটি ওয়েল্ডিং। তবে উত্তরণ ও সুইচ কনট্রাক্ট এর মাধ্যমে এখন অ্যাডভ্যান্সড ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে খুলনা শিপইয়ার্ড খুবই উপযোগী রিসোর্স প্রতিষ্ঠান। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায় ২০১৯ শেষ হয়। যেখানে দেশের সিলেট অঞ্চলের ১৪০০ যুবককে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০১৯ এ শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও বড় পরিসরে তিনটি কম্পোনেন্টে উত্তরণ প্রকল্প যাত্রা শুরু করে। প্রথম কম্পোনেন্টে কমিউনিটির যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, দ্বিতীয় কম্পোনেন্ট সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ভোলানন্দ উত্তরণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ এবং সর্বশেষ তৃতীয় কম্পোনেন্টে খুলনা শিপইয়ার্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড ওয়েল্ডিং প্রশিক্ষণ চালু হল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।