পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে বুধবার (১৫ ফেব্রæয়ারি) রাতে বৃদ্ধি করা হয়েছে পেট্রোল ও গ্যাসের দাম। আর নতুন করে মূল্য বৃদ্ধির পর দেশটিতে আকাশ ছুঁয়েছে অতি প্রয়োজনীয় এসব জ্বালানির দাম। অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে পাক সরকার। তবে আইএমএফ শর্ত দিয়েছে, ঋণ পেতে হলে বৃদ্ধি করতে হবে জ্বালানির দাম। আর সেই শর্ত অনুযায়ী, নতুন করে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রæয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, নতুন করে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ দশমিক ২০ রুপি। এতে এ জ্বালানির নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ২৭২ রুপি। হাই-স্পিড ডিজেলের দাম ১৭ দশমিক ২০ রুপি বাড়িয়ে ২৮০ রুপি করা হয়েছে। কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১২ দশমিক ৯০ রুপি বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২ দশমিক ৭৩ রুপি। অপরদিকে লাইট ডিজেলের দাম ৯ দশমিক ৬৮ রুপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৬ রুপিতে। অর্থ বিভাগ অবশ্য দাবি করেছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির অস্বাভাবিক দরপতনের কারণে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম বিভাগের পরামর্শের পর, তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (ওজিআরএ) বুধবার সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইন এবং সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানির গ্রাহকদের জন্য ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ১২৪ শতাংশ পর্যন্ত গ্যাসের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ওজিআরএ এর মতে, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পেট্রোলিয়াম বিভাগ অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল, যা ফেডারেল মন্ত্রিসভা দ্বারা অনুমোদিত, গ্যাস বিক্রয় মূল্য সম্পর্কিত, ০১ জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে। ওজিআরএ প্রাকৃতিক গ্যাসের খুচরা গ্রাহকদের প্রতিটি বিভাগের জন্য বিক্রয় মূল্য ঘোষণা করেছে।
বিশদ বিবরণ অনুসারে, ১০০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করা গার্হস্থ্য শ্রেণির গ্রাহকরা ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সম্মুখীন হবেন কারণ এই জাতীয় গ্রাহকদের জন্য নতুন খরচ প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) ৩৫০ রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে আগে ছিল ৩০০ রুপি। যারা ২০০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন তাদের জন্য গ্যাসের দাম ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পূর্বে প্রতি এমএমবিটিইউ ৫৫৩ এর পরিবর্তে তাদের জন্য নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩০ রুপি। একইভাবে, ৩০০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করা গার্হস্থ্য গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে যা প্রতি এমএমবিটিইউ ১,২৫০ রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ৪০০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করা গ্রাহকদের জন্য দাম ৯৯ শতাংশ বাড়িয়ে ২,২০০ রুপি করা হয়েছে।
অধিকন্তু, যে সমস্ত ভোক্তারা ৪০০ ঘনমিটারের বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন, তাদের জন্য মূল্য বৃদ্ধি ১২৪ শতাংশ। এর ফলে তাদেরকে ৩,৩৭৭ রুপি দিতে হবে প্রতি এমএমবিটিইউ’র জন্য, যেখানে আগে তারা ১,৪৬০ রুপি দিত। বাণিজ্যিক গ্যাস গ্রাহকদের জন্য মূল্য ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং মূল্য এমএমবিটিইউ প্রতি ১,২৮৩ রুপি থেকে ১,৬৫০ রুপি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তবে এ মূল্য বৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ১৭০ বিলিয়ন রুপি কর আদায়ে যে ‘মিনি বাজেট’ ঘোষণা করা হয়েছে সেটিরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। মুডিস অ্যানালাইটিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ক্যাটিরিনা এল জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মুদ্রাস্ফীতি গড়ে ৩৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এরপর এটি কমতে পারে। এছাড়া শুধুমাত্র আইএমএফের ঋণ দিয়ে ইসলামাবাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হবে এমনটিও মনে করছেন না তিনি।
এদিকে মিনি বাজেটের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকার বাজেটের ঘাটতি এবং কর আদায়ের পরিধি বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। মিনি বাজেটের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এফবিআর) একটি এসআরও জারি করে সেলস ট্যাক্স (সিএসটি) ১৮ শতাংশে উন্নীত করেছে। এর মাধ্যমে ১১৫ বিলিয়ন রুপি কর আদায় করা হবে। আর অন্যান্য খাত থেকে আদায় করা হবে আরও ৫৫ বিলিয়ন রুপি। সূত্র : জিও নিউজ, ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।