পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, অশালীন ভাষায় গালাগালসহ নানাভাবে হয়রানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সংস্থাটি বলছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি এ ধরণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন মনে করে, শিক্ষার্থীরা একটি জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাদের দ্বারা এহেন বর্বর ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। এমন কর্মকাণ্ড নিবারণের উপায় নিয়ে আমাদের সকলের এখনই ভাবতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় ও মূল্যবোধের অভাব এক্ষেত্রে দৃশ্যমান।
আরও বলা হয়, একজন শিক্ষার্থীর নিকট সমাজের প্রত্যাশা থাকে যে তারা পড়াশোনা ও সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে উন্নয়ন ঘটাবে। তাদের দ্বারা এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অন্যদেরও প্রভাবিত করতে পারে। যা সার্বিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে বলে আশঙ্কা করা যায়। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানাচ্ছে কমিশন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ, তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেছে অভিযুক্তরা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।