Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রেনেই থাকবে পস মেশিন

বিনা টিকিটে ভ্রমণ প্রতিরোধ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ প্রতিরোধে, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও চেকিংয়ের সময় ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে পেমেন্ট, রিপোর্ট তৈরিসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রেনেই পস মেশিন (পয়েন্ট অব সেলস) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল বুধবার রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট ক্রয়ে এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পস ডিভাইস সংযোজন সংক্রান্ত এক সেমিনারের পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। যা আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থা, টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পস (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিনের প্রবর্তন এবং অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করা টিকিট অনলাইনে রিফান্ডের ব্যবস্থা করা।

রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্মানিত যাত্রী সাধারণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ শীর্ষক সেøাগানকে সামনে রেখে ও বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এনেছে। ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের পূর্বে প্রত্যেক যাত্রীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইপূর্বক রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক করেছে। কাউন্টার, অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়কারী যাত্রীরা অনলাইন অথবা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে যে কোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে খুব সহজে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

ট্রেনে পস মেশিন ব্যবহার বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০০টি পস মেশিনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর মাধ্যমে একজন যাত্রীকে স্থান-কাল ভেদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনলাইন বা অফলাইনে নগদ, ক্যাশ দেওয়ার মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা সম্ভব হবে। পস মেশিনের মাধ্যমে টিটিই বা ভ্রাম্যমাণ রেল টিকিট পরীক্ষক দ্রুততম সময়ের মাধ্যমে টিকিট হস্তান্তর হয়েছে কিনা অথবা বিনা টিকিটের যাত্রী কিনা তা যাচাই করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন। যাত্রী নগদ অর্থ বা ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে টিকিটের ভাড়া পরিশোধ করবেন।

তিনি বলেন, পস মেশিনে একটি অ্যাপ ইন্সটল করা আছে যা কিনা রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমের প্রধান ডাটাবেজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ফলে মেশিনটির মাধ্যমে অনলাইন ও কাউন্টার থেকে দেওয়া টিকিট যাচাই করা যাবে। একইসঙ্গে যেকোনো রুটের টিকিট খুব সহজে দেওয়া যাবে। পস মেশিনটি রিয়েল টাইমে টিকিটিং সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে বিধায় একটি টিকিট ইস্যু করা হলে, তৎক্ষণাৎ তা সিস্টেমের মূল ডাটাবেজে আপডেট হয়ে যাবে। যার ফলে রিয়েল টাইমে ট্রেনের টিকিট সংক্রান্ত যেকোনো রিপোর্ট টিটিই বা ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষকরা ডাউনলোড করে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ