পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্মার্ট তরুণী অথৈই। ফেইসবুকে পরিচয় হয় এক যুবকের সাথে। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর অভিসারের আহ্বান। তাতে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন কামরুল ইসলাম। এরপর তাকে জিম্মি করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় নগদ টাকা, দামি মোবাইল ফোন। বিকাশের মাধ্যমে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। প্রেমের নামে এমন ধোঁকা খেয়ে হতভম্ব যুবক ছুটে যান থানায়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামলা রুজু করেন। এরপর মাঠে নামে পুলিশ।
অবশেষে অথৈইসহ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে পাকড়াও করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর স্টিল মিল বাজার এলাকা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। তারা হলো- পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার বাড়ইবাড়ি দাউদখালি গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্র বাড়ইয়ের মেয়ে সুন্দর রানি ওরফে অথৈই। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বৈলগাঁওয়ের আবুল হাসানের পুত্র জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও ভোলা জেলার দক্ষিণ আয়ছা শশীভূষণ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মো. মফিজের পুত্র মো. আল মামুন শাহীন। তিন জনের বাসা নগরীর স্টিল মিল বাজার মুন বেকারি গলিতে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর ইনকিলাবকে বলেন, এ চক্রটি প্রেমের ফাঁদ পেতে লোকজনকে তাদের আস্তানায় নিয়ে আসে। এরপর তাকে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়া হয়। আদায় করা হয় মুক্তিপণ। চক্রের সদস্য অথৈই ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ পাতে। সেখানে কেউ ধরা দিলে তার সাথে সম্পর্ক গভীর করার অভিনয় করা হয়। একপর্যায়ে তার বিশ^াস অর্জন করে তার সাথে অভিসারে মিলিত হওয়ার আহ্বান করা হয়।
ভুক্তভোগী পেশায় নাবিক কামরুল ইসলামের সাথেও প্রেমের অভিনয় করে অথৈই। তাকে ফাঁদে ফেলে দেখা করার আহ্বান জানানো হয়। এতে সাড়া দিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসেন তিনি। অথৈইয়ের কথামত, পতেঙ্গা থানার কাটগড় মোড়স্থ কালি মন্দিরের সামনে যান তিনি। একপর্যায়ে সেখানে তাকে ঘেরাও করে জাহিদ শাহীন ও তাদের অপর তিন সহযোগী ইলিয়াস, জিয়াউল এবং আনোয়ার। এই ফাঁকে অথৈই সেখান থেকে সরে যায়।
কামরুল কোনকিছ বুঝে ওঠার আগেই ওই পাঁচ যুবক তাকে জিম্মি করে। তার কাছ থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা এবং ২৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তাকে আটকে রেখে বিকাশের মাধ্যমে আরও ১০ হাজার টাকা আদায় করে।
এ ঘটনা থানা-পুলিশকে জানালে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান থানার ওসি। জিজ্ঞাসাবাদে অথৈই জানান, এর আগে তার একটি বিয়ে হয়। পরে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এক শিশু সন্তান নিয়ে প্রেমিক জাহিদের সাথে লিভটুগেদার করে সে। জাহিদের পরামর্শে অপর সঙ্গীদের নিয়ে প্রতারক চক্র গড়ে তোলে তারা। এ চক্রের প্রধান সদস্য অথৈই। সে তার ছবি ব্যবহার করে প্রেমের ফাঁদ পাতে। বাকিরা টার্গেটকৃত ব্যক্তির কাছে থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে। কয়েক বছর ধরে চক্রটি এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।