পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকায় মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবিরের খোঁজ পাচ্ছেন না তার পরিবার। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নিখোঁজ শাহরিয়ার কবিরের মা রাশিদা আক্তার সাহান। গতকাল সোমবার রাজধানীর তুরাগ থানায় এ জিডি করেন তিনি। গত রোববার বিকেলে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপো অফিস থেকে বের হয়ে শাহরিয়ার আর বাসায় ফেরেননি জিডিতে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে ছেলের নিখোঁজের ঘটনায় পাগলের মতো বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টদের কাছে যাচ্ছেন মা রাশিদা আক্তার । তিনি বলেন, শাহরিয়ার আমার একমাত্র ছেলে। ওর বাবা মারা গেছেন। এ ছেলে যদি না ফিরে আসে আমাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলবেন। তিনি বলেন, আমরা ১৩ বছর ধরে আজিমপুরে থাকি। গত রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় অফিসের গাড়ি এসেছিল বাসার নিচে। কোনো রকম রুটি খেয়েই দৌড় দেয় শাহরিয়া। এরপর বিকেল ৫টায় অফিস থেকে একা বের হয়ে বাসায় ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাতে অনেক খুঁজেও না পেয়ে তুরাগ থানায় জিডি করেছি। শাপাশাশি বিষয়টি র্যাবকে জানানো হয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, বুয়েটে পড়ালেখা শেষ করে চাকরির জন্য নিজে নিজে পরীক্ষা দিয়ে মেট্রোরেলে চাকরি হয় শাহরিয়ারের। আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল মেট্রোরেল গড়বে। এজন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও মেট্রোরেল নিয়ে কাজ করছে। আমার ছেলে ছোট থেকে সংগ্রাম করে বড় হয়েছে। ওর বাবা অসুস্থ থাকার সময় হাসপাতালে দৌড়াদৌড়িসহ সবকিছু একাই করেছে। ছেলেকে নিয়েই সময় কাটতো আমার। সারাদিন রান্নাবান্নাসহ সবকিছু ছিল ছেলের জন্য। ছেলেকে ছাড়া আমি বাঁচবো না।
শাহরিয়ার এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) হিসেবে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ কৌশলে পড়াশোনা করেছেন। লালবাগের আজিমপুর টাওয়ারে একমাত্র মায়ের সঙ্গে তিনি থাকতেন। তাদের বাড়ি রাজশাহীর নগরীর বোয়ালিয়া থানা রাণীবাজার এলাকায়।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, গতকাল সোমবার শাহরিয়ার কবিরের মা রাশিদা আক্তার সাহান থানায় জিডি করেছেন। পাশাপাশি এমআরটি প্রকল্পের পক্ষ থেকেও উত্তরা ডিপোর সিকিউরিটি ম্যানেজার একরামুল কবির হাওলাদারও একটি জিডি করেছেন।
তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহরিয়ার কবির তার অফিসকক্ষ থেকে একা হেঁটে বের হন। অফিস কক্ষে তিনি তার নিজের মোবাইল ও ল্যাপটপটিও রেখে যান। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইল ফোনে কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা বিশ্লেষণ করে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। কী কারণে নিখোঁজ এ বিষয়ে পুলিশ কোনোকিছু জানতে পেরেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৮ বছর বয়সী শাহরিয়ার অবিবাহিত। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও অফিসসহ অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।