পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রেজা আলী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিঊন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী অধ্যাপক (অব.) নাঈমা আলী, সন্তান মিরান আলী, সারাহ আলী এবং মিশাল; পুত্রবধূ সামিরা রহমান এবং অ্যাম্বেল মেরোনো; নাতি তারেশ, রিশান, ইরাজ, আলেজান্দ্রো, অমরা এবং তার বাবা অরূপ, ভাই মেজর (অব.) সাদেক আলী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. তৌফিক আলী, এবং পাশা আলীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রেজা আলীর ছেলে মিরান আলী জানান, গতকাল সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘বাবা কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর সিঙ্গাপুরের বিডেফোর্ড রোডের একটি মসজিদে বাবার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বুধবার লাশ ঢাকায় আনার পর বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন বাদ আসর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেন্দ্রীয় মসজিদে তৃতীয় জানাজা হবে। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ময়মনসিংহের ত্রিশালের নজরুল একাডেমিতে ও বাদ আসর ত্রিশালের ধানীখোলার রেমি ফার্মসে চতুর্থ ও পঞ্চম জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে’।
২০০৮ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রেজা আলী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহŸায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী, মিসরের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কসবার (মরহুম) টি. আলী ও সিলেটের সারা আলীর বড় ছেলে রেজা আলী ১৯৪০ সালের ১০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।
রেজা আলী ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি উচ্চ বিদ্যালয়, আইচিসন কলেজ, লাহোর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন। তিনি একজন অ্যাডভোকেট হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য ছিলেন। তিনি আইয়ুব খানের শাসনের বিরুদ্ধে ১৯৬০-এর দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন, যার জন্য তিনি কারাবরণ করেন।
তিনি ১৯৬৮ সালে তিনি বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ বিটোপি অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। তার হতে ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণসামগ্রী ও ওরস্যালাইনের প্রচারাভিযানগুলো তৎকালীন পরিবার পরিকল্পনা এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল।
পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে তিনি মিসামি গার্মেন্টস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন, যা সময়ের সাথে সাথে বেশ কয়েকটি বিশ্বমানের কারখানার মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শীর্ষ সার্টিফাইড কারখানা দুটি তার হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের অগ্রভাগে ছিলেন এবং শিপব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন।
তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশালে রেমি ফার্মস প্রতিষ্ঠা করেন এবং ত্রিশাল থেকে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদে নির্বাচিত হন।
তিনি বাংলাদেশে সেøাভাকিয়ার অনারারি কনসাল হিসেবে বহু বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তার আজীবন বন্ধু ডা. মাহমুদ রহমানের সাথে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত কোণে ভ্রমণ থেকে শুরু করে হিমালয় পর্বতারোহণ পর্যন্ত তার আগ্রহ ছিল বৈচিত্র্যময়। পরিবারের পক্ষ থেকে তার রূহের মাগফেরাত কামনায় সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।