পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান একুশ শুধু এখন বাঙালিদের নয়, একুশ এখন সারা বিশ্বের মানুষের। ভীষণ এক বিস্ফোরণের নাম এই একুশ। ১৯৫২ সালের এ দিনটি নব উচ্চতায় আসীন করেছে বাঙালিকে। বাংলা ভাষাকে এবং অতি অবশ্যই আজকের বাংলাদেশকে। ফেব্রæয়ারি এলে তাই গর্বে বুক ভরে ওঠে সবার। ঐতিহাসিক সেই বায়ান্নর ফেব্রæয়ারির প্রতিটি দিনই ছিল আন্দোলনমুখর। এই আন্দোলনমুখরতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ২১ ফেব্রæয়ারি ভাষা আন্দোলন চ‚ড়ান্ত রূপ নেয়। ভাষার দাবিতে ঢাকার রাজপথে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গিয়ে জন্ম দেয় এক করুণ ইতিহাসের। ২১ ফেব্রæয়ারি। বিকাল ৩টা। এর আগেই সকালে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঘটনাটি ইতিহাসের বাঁক ঘুরিয়ে দেয়। পৃথিবীর ইতিহাসে স্থান করে নেয় আরেকটি বর্বরতার ঘটনা।
সে দিনের সেই ঘটনা ও পুলিশের তান্ডব দমিয়ে রাখতে পারিনি বিক্ষুব্ধ জনতাকে। ভাষা আন্দোলন কলাভবন এলাকা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে চলে আসে মেডিকেল হোস্টেল প্রাঙ্গণে। হোস্টেলের চারপাশেই পুলিশ-ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এক পক্ষের হাতিয়ার লাঠি, টিয়ারগ্যাস, অন্যপক্ষের হাতে ইট পাটকেল-এমনই এক সময় কোন রকম সতকর্তা ছাড়াই পুলিশ হোস্টেল প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া ছাত্রদের ওপর গুলি চালায়। পুলিশের গুলি সরাসরি একজনের মাথায় গিয়ে লাগে এবং উঠে যায় মাথার খুলি। এভাবেই একের পর এক প্রাণের বিনিময়ে অর্জন হয় বাংলা ভাষা।
এই ভাষা ও একুশ এখন কেবল বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। একুশ এখন সারা বিশ্বের মানুষের। পৃথিবীর মানুষেরা আমাদের মতোই গভীর ভালবাসা ও ভাষা শহীদদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা রেখেই দিবসটি পালন করে। আর এই ভাষার মাস ফেব্রæয়ারির স্মরণে প্রতিবছর একুশের চেতনাকে ধারণ করে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।