Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের নতুন রসিকতা-নজরুল ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একক দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সরকারের ‘রসিকতা’ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন যেমন প্রহসনের ছিল, তেমনি জেলা পরিষদের নির্বাচনও আরেকটি লোক দেখানো প্রহসনের নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি সরকারের নতুন রসিকতা বলে আমরা মনে করি। জোর করে যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাদের ভোটে জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। সেজন্যই বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে আজ বুধবার ৬১টি জেলায় এই নির্বাচন হচ্ছে। তবে এর মধ্যে ২১ জেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও আদালত সেই প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছেন।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সদস্য নির্বাচনে ভোট দেবেন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। এই নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না হলেও ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্থাপনাগুলোর সব কার্যক্রম ওই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানে থাকবে সাধারণ ছুটি।
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মুনির খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন নজরুল ইসলাম খান।
জেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের কারণ ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিগত উপজেলা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জোর করে ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আশান্বিত ছিলাম। পরবর্তী ধাপগুলো জোর করে দখল করে নেয়া হয়েছে। পৌর নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তো অনেক জায়গায় মনোনয়নপত্র দাখিলই করতে দেয়া হয়নি।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে নিজেরাই অর্থ খরচ করছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্বভাব খারাপ হলে যা হয় আর কি। বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, তারপরও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিজেরা নিজেরাই টাকা খরচ করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগীদের অস্ত্র বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করছে, প্রকাশ্যে যখন এসব ঘটনা ঘটে, তখন জনমতের কোনো প্রতিফলন থাকে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ