Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হুমকিতে কোটি টাকায় নির্মিত ব্রীজসহ আবাদী জমি ও বাড়ীঘর

ধুনটে বাঙ্গালী নদীর বালু উত্তোলন

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বগুড়ার ধুনটে বাঙ্গালী নদীর বেড়েরবাড়ী ব্রীজের নিকট ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বোরিং করে পাইপের সাহায্যে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। এতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজসহ আবাদী জমি ও বাড়ীঘর হুমকির মুখে পড়েছে।
জানাগেছে, চলতি অর্থবছরে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদীর বেড়েরবাড়ী এলাকায় বালু মহালের ইজারা নেয় বেড়েরবাড়ী গ্রামের রায়হান আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী। নিয়ম অনুযায়ী ব্রীজের আশপাশে এবং নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বোরিং না করে বালু উত্তোলনের বিধান রয়েছে। কিন্তু বালু মহালের ইজারাদার রায়হান আহমেদ ও সাবেক ইউপি সদস্য নবাব আলীসহ কয়েক ব্যক্তি অধিক মুনাফার আশায় ব্রীজের নিকট ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর তলদেশ পর্যন্ত বোরিং করে বালু উত্তোলন করছে। এভাবে বালু উত্তোলন করে পাইপের সাহায্যে ব্রীজের নিচে ফেলা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রাকে করে বালু বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। নদীর গভীর তলদেশ পর্যন্ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বোরিং করে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গভীরতা সৃষ্টি হয়ে নদীর দু’পাশের তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী আবাদী জমি ও বাড়ীঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি ব্রীজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ইতিপূর্বে আইন না মেনে বালু উত্তোলনের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই বার ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ওই বালু মহালটির। কিন্তু তারপরও প্রভাবশালীরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
এবিষয়ে বেড়েরবাড়ী গ্রামের আজিবর রহমান ও মুজাম শেখ জানান, অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে নদীর দু’পাশের তীর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আবাদী জমি পর্যন্ত এসেছে। কিন্তু তারপরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে আমাদের অবশিষ্ট জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়া ব্রীজের নিকট ড্রেজার বসিয়ে অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও তারা অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
তবে বালু মহালের ইজারাদার রায়হান আহমেদ ও সাবেক ইউপি সদস্য নবাব আলী বলেন, নিয়ন মেনে ও স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এবষিয়ে উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ব্রীজ থেকে ৫০০ মিটার দূরে বালুমহাল থাকার কথা। কিন্তু ব্রীজের নিকট ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলে ব্রীজের পিলার ডেবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কেউ যদি ব্রীজের নিকট ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে তাহলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, কিছুদিন আগে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আবারও বালু উত্তোলন করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

Show all comments
  • আমিনুল ইসলাম ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৯ পিএম says : 0
    প্রশাসন কি এগুলো দেখে না ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ