পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেমুর হার্শ রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস পরিবহনকারী নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল বলে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
তার তথ্য অনুসারে, মার্কিন নৌবাহিনীর ডুবুরিরা ন্যাটো মহড়ার আড়ালে ২০২২ সালের জুনে পাইপলাইনের নীচে বিস্ফোরক রেখেছিল এবং নরওয়েজিয়ানরা তিন মাস পরে সেই বোমাগুলো সক্রিয় করেছিল। রাশিয়ার ইজভেস্টিয়ার সাথে একটি কথোপকথনে, পুলিৎজার পুরস্কার ওই সাংবাদিক বিজয়ী তার উৎস প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি জানান, নিবন্ধতেই সব প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। তবে মর্কিন সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেও এ বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলো কোনও নতুন তদন্ত শুরু করবে না। এমনকি তারা এ বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্যও করেনি।
‘সম্ভবত, তারা বলবে যে, এটি সাংবাদিকের বানোয়াট এবং এই সবই ক্রেমলিন দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল কারণ ওয়াশিংটন কোনও জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি জার্মান, সুইডিশ বা ডেনিসরা নিজেরাও বিস্ফোরণে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার কিছু প্রমাণ খুঁজে পেলেও, তাদের এ বিষয়ে কথা বলার সম্ভাবনা কম কারণ তারা এ ধরনের দায়িত্ব বহন করতে পারেনি,’ রাশিয়ার জাতীয় শক্তি নিরাপত্তা তহবিলের প্রধান বিশ্লেষক ইগর ইউশকভ ইজভেস্টিয়াকে বলেন।
তদন্তের কোনো ফলাফল অদূর ভবিষ্যতে প্রকাশের আশা করা উচিত নয় কারণ পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান আবহাওয়ায় তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হারানোর ব্যাপারে সতর্ক। তার মতে, নিবন্ধটি প্রমাণ করে যে, পরিস্থিতি থেকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই লাভবান হতে পারে। বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, হার্শের দাবি অনুযায়ি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল যে, নর্ড স্ট্রিমের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস পেলে ইউক্রেনে জার্মানি সামরিক সহায়তা সীমিত করবে। ‘এইভাবে, জার্মানরা একটি বার্তা পেয়েছে যে তাদের রাশিয়ার সাথে গ্যাস সহযোগিতায় ফিরে যাওয়ার কথা ভাবাও উচিত নয়,’ বিশেষজ্ঞ বলেছেন।
রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপের উপ-পরিচালক ভ্লাদিসøাভ বেলভ মনে করেন যে, এখন পর্যন্ত তদন্তে অংশ নেয়া দেশগুলি কেবল একটি বিষয়ে একমত - রাশিয়া বিস্ফোরণের পিছনে নেই। ‘এখন পর্যন্ত, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং জার্মানি তথ্য গোপন করছে। তারা এই ভিত্তি থেকে এগিয়ে চলেছে যে, তথ্যগুলিকে জনসমক্ষে প্রকাশ করা তৃতীয় দেশগুলির সাথে এবং সরাসরি বিস্ফোরণের পিছনের দেশগুলির সাথে তাদের সম্পর্কের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি হতে পারে,’ বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছেন।
স্টেট ডুমা এনার্জি কমিটির ফার্স্ট ডেপুটি চেয়ারম্যান ইগর আনানস্কিখ ইজভেস্টিয়াকে বলেছেন যে, বিস্ফোরণের পরে এবং জ্বালানি সংকটের মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ইউরোপে তার গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়েছে যখন রাশিয়া থেকে সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। সূত্র : তাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।