পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের আদানি গ্রুপের শেয়ারগুলির এখন অবস্থা কেমন? সেই পর্যালোচনাই করছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল স্টক ইনডেক্স কম্পাইলার (এমএসসিআই)। তারা জানিয়েছে সমগ্র আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারগুলির অবস্থান পর্যালোচনা করছে তারা।
গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, শেল কোম্পানি তৈরি ও বিপুল ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগের পর তুমুল বিতর্কের ঝড় ওঠে। এর পর বাজার থেকে প্রায় ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তবে আপাতত কিছুটা ধস বন্ধ হয়েছে। সম্প্রতি ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ আগেভাগে মিটিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। আর তারপর থেকে কিছুটা হলেও শেয়ার চাঙ্গা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই জানতে চান, আদানির শেয়ার এবার বিনিয়োগযোগ্য কিনা।
তবে বৃহস্পতিবার শুরুর দিকে ফের আদানি গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সংস্থার শেয়ার নিম্নমুখী হয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজেস-এর শেয়ার দিনের শুরুতেই প্রায় ৯.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এমনই সময়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন স্টক কম্পাইলার এমএসসিআই। তারা এক জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ যোগ্যতা পর্যালোচনা করছে তারা। এরপরেই সম্ভবত ফের অশনি সংকেত দেখেন বিনিয়োগকারীদের একাংশ। দ্রুত শেয়ার বেচে দিতে শুরু করেন। আর সেই কারণে ফের লাল দাগে চলে আসে আদানি গোষ্ঠীর ৯টি সংস্থা।
পর্যালোচনাকারী সংস্থা বলেছে, নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। আমাদের নীতি বলছে, এগুলি আর ফ্রি ফ্লোট হিসাবে দেখা উচিত হবে না। ফ্রি ফ্লোট, পাবলিক ফ্লোট নামেও পরিচিত। এর মানে হল এমন কোনও শেয়ার যা যে কেউ লেনদেন করতে পারেন এবং কোনও দেশের গ-িতে সীমাবদ্ধ নয়। অর্থাৎ, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের বিষয়ে বেশ আশঙ্কাজনক ইঙ্গিতই দিয়েছে মার্কিন সংস্থা।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অন্নদেশে শেল কোম্পানি খুলে নিজেদেরই শেয়ার কিনে কিনে স্টকের দাম বাড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগও তোলা হয়েছে উক্ত রিপোর্টে। বলা হয়েছে, বড় সরকারি সংস্থাগুলি আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। আবার বিভিন্ন সরকারি সংস্থাই সেই অতি-মূল্যায়নকৃত শেয়ারগুলি বন্ধক রেখে আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ দিয়েছে। ফলে ঋণখেলাপি হলে গোটা আদানি সাম্রাজ্যই টলে যেতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।