পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে ১৫ দিন আগে অপহৃত আড়াই বছরের এক শিশুকে ফেনী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন মহিলাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ। এরা হল- সুমি শীল (৪৫), লাকী আক্তার (৩৭), মো. আকিব (১৯), বেলাল হোসেন (৪০), হাবিবুর রহমান মজুমদার (৩৩) এবং রোজিনা আক্তার (৩২)। পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে শিশুটি চারবার হাতবদল হয়েছে এবং তিনবার বেচাকেনা হয়েছে। প্রতিবার হাতবদলে দর বেড়েছে শিশুটির। সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের মধ্যে সুমি, লাকী ও আকিব মিলে শিশুটিকে চুরি করে এবং বাকি তিনজন বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম জানিয়েছেন, গ্রেফতার ছয়জনকে শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। দু’জন চুরির দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ইপিজেডের জোড়া খাম্বা এলাকায় শিশুটির বাসা। তার মা পোশাক কারখানার কর্মী ও বাবা দিনমজুর। তাদের সাত বছর বয়সী এক মেয়েও আছে।
গত ২৫ জানুয়ারি দুপুরে ভাই হৃদয়কে নিয়ে তার বোন তাদের বাসার অদূরে রেললাইন সংলগ্ন সাইক্লোন শেল্টারের কাছে খেলতে গিয়েছিল। এসময় দুই মহিলা গিয়ে শিশুটির বড় বোনকে ২০ টাকা দিয়ে চকলেট কিনতে দোকানে পাঠায়। এ সুযোগে তারা হৃদয়কে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সেখানে দেখা যায়, দুই নারীসহ তিনজন শিশুটিকে কোলে করে নিয়ে রিকশায় করে চলে যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সুমি, লাকী ও আকিবকে শনাক্ত করে নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে বুধবার আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিশুটিকে ৩০ হাজার টাকায় ফেনীতে বেলালের কাছে বিক্রির তথ্য দেয়।
এ তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত শিশুটির বাবা-মাকে নিয়ে ফেনীর দাগনভূঁইয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলালকে আটক করে পুলিশ। বেলাল জানায়, সে শিশুটিকে হাবিবের কাছে দিয়েছে। হাবিবকে আটকের পর সে শিশুটিকে রোজিনার কাছে দিয়েছে বলে জানায়। পরে দাগনভূঁইয়া উপজেলার মাছুমপুর থেকে রোজিনাকে আটক করে শিশুটি উদ্ধার করা হয়। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, শিশুটি চারবার হাতবদল হয়েছে এবং তিনবার বেচাকেনা হয়েছে। প্রতিবারই দর বেড়েছে এবং সর্বশেষ দর উঠেছিল ৩০ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।