Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের সঙ্গে আইএমএফের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি নেই

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বুধবার পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মধ্যে আলোচনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইস্যু উঠে এসেছে। সেগুলো হচ্ছে সরকারের আশ্বাসের বিশ্বাসযোগ্যতা ও অন্যান্য দেশগুলির দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিদেশী ঋণের নির্ভরযোগ্যতা, এবং অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থার জন্য মেমোরেন্ডাম (এমইপিই) হস্তান্তর বিলম্বিত করা।

অচলাবস্থা ভাঙ্গার জন্য, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এবং আইএমএফ মিশন প্রধান নাথান পোর্টার এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যম এড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী ভবনে করা হয়। মতবিনিময় সত্ত্বেও, সরকার মিশন প্রধানকে এমইপিই-এর খসড়া ভাগ করে নিতে রাজি করতে পারেনি, যা গত নয় দিনে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের উপস্থাপনা সম্পর্কে আইএমএফ কী ভাবছে তার আসল ধারণা দিতে পারে।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, অর্থমন্ত্রী এবং আইএমএফ মিশন প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি ‘ভালো ছিল এবং আশ্বাস বিনিময় হয়েছিল’। কিন্তু কোনো সরকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত ছিলেন না যে, পাকিস্তান বৃহস্পতিবার এমইপিই পাবে এবং একই দিনে স্বাক্ষর করবে। দলিল পাবার একটা আবছা আশা তখনও ছিল। উচ্চপদস্থ সরকারী সূত্র অনুসারে, কমপক্ষে ৪০০ কোটি ডলারের একটি বিশাল বাহ্যিক অর্থায়নের বিষয় রয়েছে জুনের মধ্যে অতিরিক্ত সহায়তার আকারে চীন, সউদী আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দ্বারা পূরণ করতে হবে। এই দেশগুলো আইএমএফের দিকে তাকিয়ে ছিল এবং ঋণদাতা পাকিস্তানকে তাদের ঋণও সময়মতো পরিশোধ করার শর্ত দিয়েছে।

পাকিস্তানের মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। কিন্তু আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি পাওনা পরিশোধের কথা রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং দেশের মুদ্রার মূল্য ঐতিহাসিক নিম্নে নেমে গেছে। পাকিস্তান আইএমএফের কাছে ১৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চায়।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের তথ্যের বরাতে পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, আগামী এক বছরে ২ হাজার ১৯৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে পাকিস্তানকে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩৪ কোটি ডলার আসল এবং বাকি ২৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করবে ঋণের সুদ হিসেবে। যদিও আগামী এক বছরে কোনো বিদেশি ঋণ পাওয়ার আশা দেখছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এক মাসে দেশটিকে ৩৯৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। পরের তিন মাসে আরও ৪৬৩ কোটি ডলার এবং শেষের আট মাসে ১ হাজার ৩৩৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। অথচ পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ শোচনীয়ভাবে কমে ৩১০ কোটি ডলারে নেমেছে, যা দিয়ে তিন সপ্তাহের আমদানি ব্যয়ও মেটানো যাবে না। সূত্র : ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ