পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : ‘খাগড়াছড়িতে সংবাদপত্র আনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলো’ -এই শিরোনামে উড়ো চিঠি দিয়ে সংবাদপত্রের এজেন্টকে হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সংবাদপত্রের এজেন্ট ‘প্রতিভা ট্রেডার্স’ খোলার পর চারটি খামের মধ্যে উড়ো চিঠি পাওয়া যায়। চারটে চিঠিতেই কম্পিউটার কম্পোজ করা একই ধরনের লেখা। ওইসব চিঠিতে জাতীয় ও আঞ্চলিক কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ করে এসব পত্রিকা খাগড়াছড়িতে আনা ও বিক্রি করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘জনাব রতন কুমার দে, ইদানিং প্রথম আলো, সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক, কালেরকন্ঠ, সুপ্রভাত বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা এলাকার সুনামধন্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিথ্যাচার করছে। জনবিরোধী এসব পত্রিকা খাগড়াছড়িতে আনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলো। পত্র প্রাপ্তির পর যদি এসব পত্রিকা খাগড়াছড়ি আসে, তার দায়-দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে।’
খাগড়াছড়ির একমাত্র সংবাদপত্র পরিবেশক প্রতিভা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী রতন কুমার দে জানান, ‘এ ব্যাপারে সদর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান জানান, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাগড়াছড়ির পেশাজীবী সাংবাদিকরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এর আগে এক সাংবাদিককে মারধর ও ৩৫ সাংবাদিককে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনায় ফের আলোচনায় উঠে আসেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম। গত ১৮ ডিসেম্বর শহর সংলগ্ন চেঙ্গী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারী কসাই দিদারসহ কয়েকজন সাংবাদিক নীরব চৌধুরীকে পৌর ভবনে ধরে নিয়ে যায়। পরে পৌর সচিবের কক্ষে নীরবকে কয়েকদফায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন মেয়র রফিকুল আলম নিজে। এসময় চাঁদা চেয়েছে মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পর সহকর্মীরা আহত অবস্থায় নীরব চৌধুরীকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ২০ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পেশাজীবী সাংবাদিকরা শহরের শাপলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। বেলা ১১টার দিকে কসাই দিদারের নেতৃত্বে মেয়রের ৩০-৪০ জন অনুসারী সাংবাদিকদের মানববন্ধনস্থলে এসে সাংবাদিকদের মাইক কেড়ে নিয়ে প্রকাশ্যে মানববন্ধনে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের জবাই করার হুমকি দেয়। ওইদিনই ৩৫ জন সাংবাদিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় একটি গণজিডি করেন। সাংবাদিকদের করা জিডি পরে নন-জিআর মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া শারীরিকভাবে নির্যাতন ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একই দিন পৃথক একটি জিডি করেন প্রথম আলোর আলোকচিত্র সাংবাদিক নীরব চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।