পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেলিফোনে আড়িপাতা সংবিধান লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনছি, বিরোধী মতালম্বীদের বিশেষ করে সাংবাদিক, মানবাধীকার কর্মী, আইনজীবী, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী ও সরকারের বিরোধীতা করে কথা বলেন এমন ব্যক্তিদের স্মার্ট ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। যা সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদের ৪৩ ধারায় সুষ্পষ্ট লঙ্ঘণ।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষনের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি বলেন, ইসরাইলী কোম্পানী ‘প্যাসিটোরার তৈরি স্পাই ওয়ার’ নামে একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে এই আড়িপাতা হচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিশ্বের ২৭টি নামি দামি পত্র-পতিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিশ্বের ৪৫টি দেশে স্মার্ট ফোনে আড়িপাতার জন্য একটি গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। সে তালিকায় বাংলাদেশও আছে। সেখানে রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্মার্ট ফোনে অড়িপাতার জন্য ‘পিয়ারহেড বা ‘স্পাই ওয়ার’ ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২২ সালে ৫৭ লাখ ইউএস ডলার ব্যয়ে এ আড়িপাতা প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ।
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সংবিধানে বলা আছে প্রত্যেক নাগরিকের নিয়মিত কথা বলা ও মনোভাব আদান প্রদান করতে পারবে, এটা তার জম্মগত অধিকার। সুনির্দ্দিষ্ট অভিয়োগ ব্যতিরেকে স্পাই ওয়ার বা যেই প্রযুক্তি ব্যবহার করুক না কেন, তা সংবিধানের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন বলা যায়। যে কোন ব্যক্তিকে টার্গেট করে তার ফোনে আড়িপাতা অনৈতিক ও সংবিধান পরিপন্থি। এগুলো ব্যবহৃত হয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড জানার জন্য। কিন্তু আমাদের এখানে এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে, যারা সরকারের বিরোধীতা করে তাদের ফোনালাপ, ম্যাসেনজারে নিয়মিত আড়িপাতা ও রেকর্ড করার জন্য। তিনি বলেন, সরকার কি এসব ব্যক্তিদের রাষ্ট্রদৌহী মনে করে এসব করছে? তাহলে গণপ্রজাতন্ত্রী অর্থাৎ যেখানে জনগণই রাষ্ট্রের মালিক, সেখানে রাষ্ট্র কি এটা করতে পারে? তাহলে সরকারী দল ও রাষ্ট্র কি একীভূত হয়ে গেছে? এমনটি হলে সেখানে সুশাসন দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, আড়িপাতার আরেকটা হতে পারে-সকল বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করা। কিন্তু তাদের একে অপরের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান বা কথা বলার অধিকার এদেশের মানুষের জম্মগত অধিকার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, যে দেশে প্রজাগণ মালিক তারা কথা বলবে, মত প্রকাশ করবে সেটা সকলের কর্তব্য। এধরণের আড়িপাতার কর্মকাণ্ড এদেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তিনি এর ঘোর বিরোধীতা করে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানান।
নিরাপদ সড়ক আইনের বাস্তবায়ন কেন হচ্ছে না? সে প্রশ্ন তুলে জি এম কাদের বলেন, যে আইনটি এই জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হলো। তা কার স্বার্থে, কাদের রক্ষার্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে না, এর প্রতিবাদে সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব আনা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা গেলেও এদেশের পার্লামেন্টে তা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানী ঢাকার বায়ু দুষণের চিত্র তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, বিশ্বের বহু দেশ থেকে রাজধানী ঢাকা এখন দুষনের মাত্র এতো বেশি যে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মানুষ মারা যাচ্ছে নানা রকম ফুসফুস জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এটি রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
জিএম কাদেরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চিফ অব পলিটিক্যাল মি. স্কট ব্রান্ডন এবং পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথুইউ বে। গতকাল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাত করেন তারা। জাপার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা এলে তাদের স্বাগত জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত মাসরুর মওলা। বৈঠকে বন্ধু প্রতিম দুটি দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের এই অনুমোদন দিয়েছেন। গতকাল বুধবার জাতীয় পার্টি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপির সুপারিশে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম চাকলাদারকে আহ্বায়ক ও আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোজাম্মেল হককে সদস্য সচিব করে ১২৩ সদস্য বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন করেছেন। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলেও ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।