Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বান্দরবানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ১৭ জঙ্গি ও তিন কেএনএফ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বান্দরবানে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া ও কেএনএফের সাথে র‌্যাবের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জন জঙ্গি ও ৩ কেএনএফ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ৭ লাখ টাকা। অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন র‌্যাবের ৮ সদস্য।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুমিল্লার মাহাবুর রহমানের ছেলে সামির রহমান সাদ, বরগুনার মালেক মোল্লার ছেলে মো. সোহেল মোল্লা সাইফুল্লাহ, পটুয়াখালীর ফোরকান ফকিরের ছেলে আল-আমিন ফকির ওরফে মোস্তাক, কুমিল্লার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে ওমর ফারুক, পটুয়াখালীর আনিস মির্জার ছেলে মিরাজ শিকদার আশরাফ ওরফে হোসেন দোলন, টাঙ্গাইলের দুলাল রহমানের ছেলে ইলিয়াস রহমান তানজিল, ঝালকাঠির আবু ইউসুফের ছেলে হাবিবুর রহমান মোড়া, কুমিল্লার মালেক ফরাজির ছেলে মো. সাখাওয়াত হোসেন মাবরুর, বরিশালের নাসির হাওলাদারের ছেলে আব্দুস সালাম, কুমিল্লার মাওলানা হুসাইন আহমেদের ছেলে জোবায়ের আহমেদ আইমান, পটুয়াখালীর মাহবুব মাতব্বরের ছেলে মোহাম্মদ শামীম হোসেন আবু হুরাইরা, হবিগঞ্জের কুতুবুর রহমানের ছেলে রহমান সোহান মিন্টু, বরিশালের গোলাম মোস্তফার ছেলে মাহমুদ ডাকুয়া, মাগুরার শামসুর রহমানের ছেলে আবু হুরাইরা মিরাজ, এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সদস্য লাল মোল সিয়াম বম, ফ্লাগ ক্রস, মালসম পাংকুয়া। রাতে অভিযান সমাপ্তির পর তাদের গতকাল বুধবার সকালে বান্দরবানের র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

গতকাল সাংবাদিকদের ব্রিফংয়ে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, গত মঙ্গলবারের অভিযানটি ছিল জঙ্গিবিরোধী সবচেয়ে বড় অভিযান। গত অক্টোবর থেকে চলা জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী টানা অভিযানের কারণে জঙ্গি ও সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত প্রশিক্ষণের যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে আটককৃত ১৭ জঙ্গিদের মধ্যে পাঁচজন রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিজরতের জন্য নিখোঁজ হওয়া ৫৫ জঙ্গির মধ্যেও গ্রেপ্তার ১৭ জন জঙ্গি রয়েছে। এরা বিভিন্ন সময়ে হিজরতের কথা বলে নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারে যোগ দেয়। পরে তারা পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নেয়। এ পর্যন্ত বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠনের ৩১ সদস্য ও কেএনএফের ১৭ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে র‌্যাব কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, যারাই অপরাধের সাথে জড়িত থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাহাড়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ঐ কর্মকর্তা জানান। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম র‌্যাব ৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুব ও র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল মশিউর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ