পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য বিএনপির ২৭ দফা। সত্যি কথা বলতে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, এই রূপরেখায় তারা কিছুই ভুল বের করতে পারেনি, যেটা নিয়ে তারা বিরোধিতা করবে। তারেক রহমানের দেওয়া রূপরেখা নিয়ে আওয়ামী লীগ যে বিরোধিতা করবে, তার কিছুই এখানে দেওয়া হয়নি।
সবচেয়ে বড় কথা বিরোধিতা করার মতো কোনো ভাষা আওয়ামী লীগ খুঁজে পায়নি। আওয়ামী লীগ এটাকে বলছে, বিএনপির স্টান্টবাজি। এই রূপরেখার ওপর তারা কোনো বক্তব্য করতেও সক্ষম হয়নি। এটি এমন একটি রূপরেখা, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশে-বিদেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মনের প্রত্যাশার প্রতিফলন এই রূপরেখার মাধ্যমে ঘটেছে। তিনি গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রাম উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পেশাজীবি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিষদ সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নেই, রাজ্য হয়ে গেছে। বাংলাদেশ যে গভীর গর্তের মধ্যে পড়েছে, সেই গর্ত থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামো ভেঙে ফেলেছে। এ জন্য রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বিএনপির সঙ্গে রাস্তায় নেমেছে স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য। কিন্তু একটি প্রশ্ন সবার মনে আসছে। কেউ বলছেন, আবার কেউ বলছেন না। সেটা হলো ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হলে বাংলাদেশের ভাগ্যের কী পরিবর্তন হবে? আমরা আবার আরেকটা ফ্যাসিস্ট সরকার দেখব না, তার গ্যারান্টি কী? মানুষ এটা জানতে চায়। মানুষের মনের সব প্রশ্নের উত্তর রূপরেখার মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু রাষ্ট্র সে কথা রাখেনি। এই রাষ্ট্র এখন মানুষের সমস্ত মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাই এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ বলে আমরা বেহেস্তে আছি, বিরোধী মতের মানুষেরা বলে দোযকে বসবাস করছি। নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ চলাচ্ছে। মিডিয়াসহ কারো স্বাধীনতা নেই।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১০ দফা সরকার হঠানোর দফা আর ২৭ দফা রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা। আজ দেশে সুশাসন নেই। সব কিছু আজ পাচার হয়ে গেছে। এ থেকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিকল্প নেই। আবুল হাসেম বক্কর বলেন, মাফিয়ার কাছ থেকে দেশ উদ্ধার করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক সমিতির সদস্য প্রফেসর এস এম নছরুল কদির, চমেক ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, কৃষিবিদ অধ্যাপক আহসানুল হক, আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এনামুল হক, ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, শিক্ষক নেতা এম এ ছাফা চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অ্যাড. জহুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান, অ্যাড. মুফিজুল হক, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, অ্যাড. কায়সার হামিদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।