Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় গতকালও শীর্ষে ঢাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় গতকালও শীর্ষে ছিল ঢাকা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বায়ুর মান সূচক ২৩০। বায়ুর মান বিচারে এ পরিস্থিতি খুবই অস্বাস্থ্যকর। একই সময়ে বায়ু মান সূচক ১৯৯ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের মুম্বাই শহর। ১৯৭ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল চীনের শহর চেংডু। ১৮৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে পাকিস্তানের লাহোর এবং ১৮২ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি পঞ্চম স্থানে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের এবং ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-৫০০ হলে ‹বিপজ্জনক ’ বলা হয়।

চলতি বছরের শুরু থেকে ঢাকা দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রায়ই শীর্ষে অবস্থান করছে। বলা যায় গত মাসে একদিনও বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারেনি ঢাকাবাসী। প্রতিদিনই বিষে ভরা বাতাস নাকে ঢুকছে তাদের। তাতে বাড়ছে স্বাস্থ্যগত সমস্যাও।

গত নভেম্বরে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে উচ্চমাত্রার বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। একই সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বায়ুদূষণে উল্লেযোগ্যভাবে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি। অন্যান্য স্বাস্থ্যগত হুমকি বাড়ার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং সহজাত রোগে আক্রান্তরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্তরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ