পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের জাতীয় পার্টির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সাংগঠনিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে পারবেন। কথাও বলতে পারবেন। বিচারিক আদালতের দেয়া আদেশ হাইকোর্ট বিভাগ স্থগিত করায় দলীয় দায়িত্ব পালনে আইনগত কোনো বাঁধা নেই। এ কথা জানিয়েছেন তার কৌঁসুলি শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো: আব্দুল হাফিজের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন। এর আগে নি¤œ আদালতের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না-মর্মে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে নিম্ন আদালতে চলমান মামলা ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছর ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত রুল জারি করেন। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয় মূল মামলার বাদী জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা।
প্রসঙ্গত: গতবছর ৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। এ প্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন পিটিশন দেন জিএম কাদের।
জিয়াউল হক মৃধার মামলার আবেদনে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন। পরে বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে দলের ‘চেয়ারম্যান’ ঘোষণা করেন।
মামলা দায়েরের আগে গতবছর ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা: মো: আজিজকে বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। ১৪ সেপ্টেম্বর বহিষ্কার করেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। এর ৩ দিন পর জাপা থেকে বহিষ্কার করা হয় অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।