পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন আজ রবিবার ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ পালনের উদ্দেশ্য এক অনলাইন ইভেন্টের আয়োজন করে । প্রবাসী পাকিস্তানি, শিক্ষাবিদ এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা ইভেন্টটিতে যুক্ত ছিলেন। ভারত কতৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর, আইআইওজেকের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে সমর্থন জানাতে বিশ্বজুড়ে কাশ্মীরি এবং পাকিস্তানিগণ প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করে থাকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আইআইওজেকেতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রবীণ হুররিয়াত নেতা (প্রয়াত) সৈয়দ আলী গিলানির জীবন, সংগ্রাম এবং দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘে কাশ্মীর সমস্যা উত্থাপনের জন্য পাকিস্তানের প্রচেষ্টা তুলে ধরে তিনটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া কাশ্মীর সংহতি দিবসের বাণীও পাঠ করে শোনানো হয়। নিজ নিজ বার্তায়, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং প্রধানমন্ত্রী মুহম্মদ শেহবাজ শরীফ ভারতের অবৈধ দখলদারিত্ব ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ় সংগ্রামের জন্য সাহসী কাশ্মীরি জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের প্রতি পাকিস্তানের অবিরাম সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি তার বার্তায় আইআইওজেকের জনগণের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ও কাশ্মীরি জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরের প্রতি পাকিস্তানের সংহতির অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। কাশ্মীর বিরোধের আইনি ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে সর্বদলীয় হুররিয়ত কনফারেন্সের আহ্বায়ক সৈয়দ ফয়েজ নকশবন্দি বলেন, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের রেজুলেশন লঙ্ঘন করে, সামরিক শক্তি দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে শোষণ করছে। কিন্তু কাশ্মীরিরা ভারতীয় দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পাকিস্তানি নেতৃত্বের বার্তা এবং আইআইওজেকের জনগণের প্রতি পাকিস্তানের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ইস্যুতে পাকিস্তান সরকারের অবস্থান তুলে ধরে সিদ্দিকী বলেন, পাকিস্তান সমস্ত আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের ব্যাপারে কথা অব্যাহতভাবে বলতেই থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।