পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি কীভাবে ক্ষমতায় আসে দেখে নেবো বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেছেন, যত দিন যুবলীগ আছে, আমরা দেখে নেব তারা কীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের সামনের সড়কে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি উল্টো আমাদের অত্যাচারী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। তাদেরকে এত রাজনৈতিক সুযোগ দেওয়ার পরও তারা আমাদের বলছে, আমরা নাকি কর্তৃত্ববাদী সরকার, অত্যাচারী সরকার। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য ও তা-বের অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে শেখ ফজলে শামস বলেন, তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে ওস্তাদ। তাদের পারদর্শিতা কোনোভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আরেকটা ব্যাপারে তারা পারদর্শী। মিথ্যাচারের রাজনীতি, প্রোপাগান্ডার রাজনীতি। আমরা দেখে নেব, তারা কীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না।
শেখ ফজলে শামস বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়, মানুষ আতঙ্কে থাকে, ভয় পায়, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এ কারণেই যুবলীগ রাজপথে থেকে সাধারণ মানুষকে সাহস দেয়। যখনই তারা কর্মসূচি দেবে, যুবলীগও রাজপথে থাকব। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি, সাফল্য তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায়। ২০১৪ সালেও নির্বাচনের আগে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর তারা তা-ব চালিয়েছে। বাসে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।
বিএনপি-জামায়াতকে হুঁশিয়ার করে শেখ ফজলে শামস বলেন, সভা-সমাবেশ করেন। বিরোধী মতামত, বিরোধী দলের কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু কোনোভাবেই জনগণকে ভিকটিম বানানোর চেষ্টা করবেন না। জনগণের জানমালের ক্ষতি করলে, নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটালে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বসে থাকবে না।
বিএনপি কীভাবে ক্ষমতায় আসবে প্রশ্ন তুলে যুবলীগ নেতা বলেন, ’১৪ বছর কেন, এই বাংলাদেশে যত দিন মুক্তিকামী বাঙালি, তাদের প্রজন্ম এবং সন্তানেরা আছে, যত দিন যুবলীগ আছে, আমরা দেখে নেব তারা কীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনার অধীনেই সাংবিধানিক ও সুশৃংখলভাবে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে, তাতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি জয়ী হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাঈনুল হোসেন খান বলেন, বিএনপি একটি মানবাধিকার হরণকারী জঙ্গি দল। তারা দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত যে ষড়যন্ত্র করছে, তার প্রতিবাদ করতে, দাঁতভাঙা জবাব দিতে যুবলীগই যথেষ্ট। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যুবলীগ সারা দেশে রাজপথে থাকবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতারা বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।