Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক গ্যাপেক্সপো তৈরি পোশাকের পশ্চাৎসংযোগ শিল্পে সুনজর চান ব্যবসায়ীরা

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীতে শুরু হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী ৮তম আন্তর্জাতিক গ্যাপেক্সপো-২০১৭। আরএমজি অ্যাক্সেসরিজ খাতের সবচেয়ে বড় এই প্রদর্শনী আগামী ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এতে ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে সর্বশেষ পণ্য, যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ), এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন লি. ইন্ডিয়া এবং জাকারিয়া ট্রেডঅ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধারায় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। বিজিএপিএমইএ সভাপতি আবুল কাদের খান বলেন, সরকার পোশাক খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকারের যদি নীতিগত সহযোগিতা দেয় ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এই খাত পুরোপুরি সহায়তা করবে। এ ছাড়া এই খাত লক্ষ্যমাত্রার ১২ বিলিয়ন ডলার আয় প্রদান করতে সক্ষম বলে জানান তিনি। বর্তমানে এই খাতের ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের বাজার।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ভারত, চীন, পাকিস্তান, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও জার্মানিসহ প্রায় ২৫টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া এতে দেশি-বিদেশি প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০টি স্টল থাকছে। এসব স্টলে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ- প্যাকেজিং, লেবেল, স্যুয়িং, নিটিং, এমব্রয়ডারি, লন্ড্রি, ফিনিশিং, ডাইং, প্রিন্টিং, কাটিং, স্প্রেডিং মেশিনারি ও পণ্য প্রদর্শিত হবে।
বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, সম্ভাবনাময় তৈরি পোশাকের পশ্চাৎসংযোগ শিল্প হিসেবে গড়ে ওঠা গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে সুনজর নেই। তারপরও নিজস্ব প্রচেষ্টায় এই শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বরেন, গার্মেন্টস সেক্টরের অন্যান্য সংগঠনগুলো সরকারের প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেলেও পশ্চাৎসংযোগ শিল্প কখনোই কোনো সুযোগ পায়নি। সাবেক এই সভাপতি বলেন, কিছু উদ্যোক্তার অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় এই খাতটি। তাই অন্যান্য রফতানিমুখী শিল্পের মতো এই খাতেও সরকারের সমান মনোযোগ দেয়া উচিত। একই সঙ্গে এই খাতের বিকাশে নগদ প্রণোদনা, স্বল্পসুদে ঋণ, আইনী জটিলতা দূর করার দাবি জানান তিনি।
প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এক সময়ে আমদানি করা হতো। অথচ প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ বর্তমানে দেশীয় তৈরি পোশাক শিল্পকে সহযোগীতা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে রফতানি করছে। উল্লেখ্য, বিজিএপিএমইএর সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৫টি। এই খাতের মোট বিনিয়োগ ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রত্যক্ষভাবে এই শিল্পে ৪ লাখ শ্রমিক কর্মরত। পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও প্রায় ১০ লাখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জানুয়ারি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ