পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে, এটা আর হবে না। আন্দোলনের মরণযাত্রায় না গিয়ে নির্বাচনের যাত্রায় আসুন। নির্বাচনে যদি হারাতে পারেন আমরা (আওয়ামী লীগ) বিদায় নেবো। গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রথম পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি মূলত দ্বিতীয় মেট্রোরেল ও প্রথম পাতালরেল।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উড়ালপথের অংশ রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার দ্বিতীয় মেট্রোরেলের কাজ শুরু হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার পাতালরেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী জানান, পূর্বাচলে এমআরটি লাইন-১ যেটা ২১ কিলোমিটার পাতাল রেল, ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড। দুটি রুট আজ উদ্বোধন করা হলো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের আকর্ষণ দুর্দমনীয়। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ এটায় একবার উঠতে এসছে। কী আকর্ষণ, কী ক্রেজ! চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। মোট ছয়টা মেট্রোলাইন ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা আধুনিক গণপরিবহনে সাজবে। এ বছরই আমরা মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন নিয়ে আসবো।
জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ৫২ হাজার কোটি টাকার ৪০ হাজার কোটিই জাপানের টাকা। জাপান আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী।
সরকারবিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে। মাত্র শুরু হয়েছে উদ্বোধন। এই উদ্বোধনের জ্বালা, পদ্মাসেতুর জ্বালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, জ্বালায় জ্বালায় অন্তর্জালায় পুড়ে মরে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন থেমে থাকবে না। লাল কার্ড দেখসেন না! ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন! তারেক জিয়ার আগমন! সবেই ভুয়া! ৫৪ দল ভুয়া, ২৭ দফা, ১৪ দল সব ভুয়া। ডান আর বাম সব এককাতারে একাকার। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায় নেমেছে। তিনি বলেন, এ মাটি ও মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আপনারা প্রস্তুত থাকেন। খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই জনপদে দুজন মানুষ কোনোদিন অস্তিত্ব হারাবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তিনি আজ মরণ সাগরের ওপারে। যতদিন এই দেশে, এই জনপদে নদীর কলতান থাকবে ততদিন রাজনৈতিক স্বাধীনতা যিনি দিয়ে গেছেন, তিনি নেই কিন্তু তার উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির যে উত্তরাধিকার; শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন কিন্তু চিরদিন বেঁচে থাকবেন না। যতদিন সবুজ-শ্যামল বাংলার এ জনপদ থাকবে ততদিন অর্থনৈতিক মুক্তির এই উত্তরাধিকারের মৃত্যু নেই। তিনি আরো বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনা ভাবেন। তার পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এর জন্য দরকার সুশৃঙ্খল স্মার্ট কর্মী বাহিনী। খেলার জন্য স্কিলড কর্মী হতে হবে। বেশি নেতার দরকার নাই। নেতা একজন শেখ হাসিনা। সবাই কর্মী হতে পারলে কাজে-চেতনায়, বিজয় হবেই। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।