পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ‘বার্মা অ্যাক্ট’ পাস হয়েছে। এই আইনের কারণে এই অঞ্চলে (মিয়ানমার এবং আশপাশ) সংঘর্ষ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এই অবস্থায় কোনও পক্ষে শামিল না হওয়া বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ‘রিস্টোরিং পিস ইন মিয়ানমার : টু ইয়ারস আফটার মিলিটারি ক্যু’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মিয়ানমারে সামরিক শাসন অবসানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে এবং এজন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ইস্টার্ন অ্যাপ্রোচ (চীনের নীতি) অনুসরণ করছে, যা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমাদের পশ্চিমা নীতি (বার্মা অ্যাক্ট) অনুসরণ করা প্রয়োজন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক ভ‚-রাজনীতি অনেক পুরনো। এখানে ভারত চীনকে কোণঠাসা করা চেষ্টা করছে। আবার চীন ভারতকে একদিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘বার্মা অ্যাক্ট’ এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি হয়তো আমাদের জন্য ভালো হবে না। এক্ষেত্রে আমার বিবেচনায় আমাদের হাতে তিনটি অপশন আছে। আমরা বলতে পারি, এই অঞ্চলে আমরা সংঘর্ষ চাই না। তোমরা যদি সংঘর্ষ করতে চাও, নিজেদের এলাকায় করো। আমার বিবেচনায় এটি সবচেয়ে ভালো অপশন।
অন্য দুটি অপশনের বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, প্রথমত, আমরা প্রতিরক্ষা-কেন্দ্রিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করার নীতি অনুসরণ করতে পারি। দ্বিতীয়ত, এই সংঘর্ষে সরাসরি অংশ নিতে পারি এবং সেক্ষেত্রে চীন অথবা ভারত–যেকোনও একটি দেশকে বেছে নিতে হবে, কারণ এখানে দুইপক্ষের সঙ্গেই থাকা যাবে না।
আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে মিয়ানমারের প্রবাসী সরকারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ওয়েই সো বলেন, আমি রাজনীতিবিদ নই, একজন চিকিৎসক। কিন্তু আমি এখানে এসেছি, কারণ এটি জনগণের যুদ্ধ। রোহিঙ্গাদের এনইউজি কীভাবে দেখে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের লোক এবং তারা আমাদের একজন। মিয়ানমারের ৫০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল এনইউজি নিয়ন্ত্রণ করে এবং এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি সামরিক সৈন্য মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শ‚ন্য থেকে শুরু করেছিলাম এবং এখন আমরা অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। বর্তমানে আমাদের সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি এবং আমরা অবশ্যই এই যুদ্ধে জিতবো।
আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি হ্লা মিন্ট বলেন, রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এখন এক হচ্ছে। কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি, এক না থাকলে আমাদের সমস্যা হবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।