Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্মানহানির কারণে পদত্যাগ করতে পারেন লে. জে. বক্সি

জুনিয়রকে ভারতের সেনাপ্রধান করায় ক্ষুব্ধ

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন কোনও সম্মানজনক পদ না দেওয়া হলে ভারতের সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রবীন বক্সি। সম্মানহানির পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানা গেছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, নতুন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত দায়িত্ব নেওয়ার আগের দিন ৩০ ডিসেম্বরই পদত্যাগ করতে পারেন সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত বক্সি। তাকে টপকে রাওয়াতকে সেনাবাহিনীর পরবর্তী প্রধান হিসেবে সরকার বেছে নেওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। ইতিমধ্যেই দিল্লি এসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর এবং দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান দলবীর সিং সুহাগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বক্সি। সেখানে সম্মানহনির বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বলে খবর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, দু’জনেই তাকে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কীভাবে সেনাপ্রধান হিসেবে দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রবীন বক্সি ও পিএম হ্যারিজকে টপকে গেলেন রাওয়াত? প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের। ঘটনাচক্রে তিনি রাওয়াতের পূর্ব পরিচিত এবং অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে দোভালের সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমনটাই বিশ্বাস প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদস্থ আমলাদের। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আমলার কথায়, ‘যখন একটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরবর্তী সেনাপ্রধানের নাম খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন, তখন বয়স বা অভিজ্ঞতা বিচার্য হতে পারে না। সে অবস্থায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিটি অন ক্যাবিনেটের পক্ষে পুরো বিষয়টা নিয়মরক্ষা হয়ে দাঁড়ায়’।
এই অবস্থায় বক্সিকে শান্ত করতে কী পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার? অবসরপ্রান্ত এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলের কথায়, ‘সরকার বক্সিকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) পদ দেওয়ার কথা ভাবতে পারে। এই পদের ভাবনা প্রথম ছিল ১৯৯৯ সালে কার্গিল সংঘর্ষের পর। সেই সময় আমলা কে এস সুব্রহ্মণ্যমের সুপারিশ ছিল, দেশে সিডিএস পদ তৈরি করা হোক। এর ফলে সেনার সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারের যোগাযোগ আরও নিবিড় ও সময়োপযোগী হবে। ১৯৯৯-তে এই ভাবনা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। পারিকর দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি সিডিএস পদ শুরু করবেন। বক্সিকে এই পদ দিয়ে পিএম হ্যারিজকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির প্রধান করার ভাবনাও ভাবতে পারে সরকার’।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সিডিএস-র এই ভাবনার পিছনে সমস্যা একটাই - অজিত দোভাল। সিডিএস পদ তৈরি হলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদের গুরুত্ব কমে যাবে। নিজে গুরুত্বহীন হয়ে যাওয়ার ভয়ে এতদিন সিডিএস পদের বিরোধিতা করেছেন দোভাল নিজে। সেক্ষেত্রে সরকার নতুন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ