পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, আগে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরকে অবহেলা ও অবজ্ঞার চোখে দেখা হতো, তাদেরকে নিয়ে সচেতনতার অভাব ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিষয়ে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাদের বিকাশের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ বিষয়ে সমগ্র বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত 'বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোর আমাদের উন্নয়নের সহযাত্রী' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, সুস্থতায় বড়াই করার কিছু নেই। আমাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেই এ বিশেষ শিশুরা রয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এ শিশুদের সঠিক পরিচর্যা ও সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই সুস্থতার পরিচায়ক। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু বাইরে থেকে এ শিশুদের দেখি। কিন্তু একমাত্র পিতা-মাতার পক্ষেই তাদেরকে গভীরভাবে অনুভব করা সম্ভব।
কে এম খালিদ বলেন, সরকারের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। তাছাড়া সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ। তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিশেষ শিশুদের জন্য সহযোগিতার দ্বার প্রসারিত করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এসময় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সবাইকে সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহবান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পবিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। আলোচনা করেন 'বিউটিফুল মাইন্ড' স্কুলের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকস এর চেয়ারম্যান ডা. শামীম মতিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর জনশিক্ষা বিভাগের কিপার শিহাব শাহরিয়ার।
সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। সমাজকে তাদের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রতি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
আবেগাপ্লুত স্বরে নিজের ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সচিব বলেন, আমার একমাত্র ছেলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। পাছে সমাজ কটু কথা বলবে এ ভয়ে তাকে নিয়ে আমরা রেস্টুরেন্টে পর্যন্ত যাই না। তিনি বলেন, তাদের প্রতি সমাজের মানসিকতা আগের চেয়ে কিছুটা পরিবর্তন ঘটলেও আরও পরিবর্তন জরুরি। মো. আবুল মনসুর বলেন, আমরা শুধু আমাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তাদেরকে নিয়ে ভাবি না। এ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রতিষ্ঠান 'বিউটিফুল মাইন্ড' স্কুলের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইনের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে 'রবিউল হুসাইনের কবিতায় জীবন-মৃত্যু ও নিঃসঙ্গতা' শীর্ষক সেমিনার, আলোচনা সভা, 'শূন্য গর্ভ কথামালা' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।