পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২৩ গতকাল রাতে শেষ হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ মেলার আয়োজন করেছিল।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শনিবার রাতে বিআইসিসি’তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে তিন দিনব্যাপী এ মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মেলার শেষ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেলায় তরুণদের ডিজিটাল উদ্ভাবন প্রদর্শন ও তাদের উদ্ভাবনী প্রতিভাকে কাজে লাগানোর জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলাকে একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘যতদিন বেঁচে থাকবো ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষের লড়াই নিয়েই বাঁচবো’।
তিনি বলেন, এই মেলার মাধ্যমে অনাবিস্কৃত মেধার বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ইইই (ট্রিপল ই) বিষয়ে লেখা পড়া করে রোবট বানিয়েছেন। মন্ত্রী মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ২০২০ সালের ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ যুগ অতিক্রম করেছি। ২০২১ ও ২২ সালে করোনার জন্য মেলার আয়োজন করা যায়নি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আগামী দিনের এ মেলা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা। এ বছরে আয়োজিত মেলার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল যুগের অর্জনগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানব সম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২৩’র মূল লক্ষ্য বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার মেলায় তরুণদের উদ্ভাবন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা রোবটসহ মেলায় যে সব উদ্ভাবন প্রদর্শন করেছে, আমি নিশ্চিত যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা বিশ্ব জয় করার যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হবেই।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের মেধা যে কোন দেশের তরুণ-তরুণীদের চেয়ে অনন্য। তাদের একটু অনুপ্রেরণা দিলেই হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক বলেন, ‘আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্ডের যে সুযোগটি আছে তা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ডিজিটাল প্রযুক্তি কী হবে তা এখনো কল্পনাও করা যায় না। আগামী দিনের প্রযুক্তি আমাদের ছেলে মেয়েরাই তৈরি করবে বলেও মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তৈরি আইওটি ডিভাইস সৌদি আরবে রপ্তানি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির উপর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সংযুক্তির মহাসড়ক’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এবারের মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
ডাক, টেলিযোাগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং জেডটিইর বাংলাদেশ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিউ লিয়ান জেং অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এই মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়ন এবং ৭৭ টি স্টলে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের পণ্য প্রদর্শন করে। মেলায় ৮ টি সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের মন্ত্রী এবং অভিজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। ২৮ জানুয়ারি (শনিবার) মেলা প্রাঙ্গণে সকাল ১০ টায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অনলাইন রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ অনুষ্ঠানে সেরা স্টল ও স্পন্সরদের মাঝেও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।