Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশবাসী চাচ্ছে প্রস্তুত থাকুন : ডিসিদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যেটা দেশবাসী চাচ্ছে। সারা বিশ্বও সেদিকে তাকিয়ে আছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আপনাদের ভূমিকাই মুখ্য, আপনারা তৈরি থাকুন যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। তাদের দেশপ্রেম, অভিজ্ঞতা, দক্ষতায় তারা এখন পরিপূর্ণ। তাই নির্বাচনের সময় যা প্রয়োজন, তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি তারা মোকাবিলা করতে পারবে। বস্তুত সেই সময়ে (নির্বাচন) আমাদের করণীয় কিছু থাকবে না। আমরা শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবো। মূল দায়িত্বে থাকবে ইলেকশন কমিশন। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাছেই ন্যস্ত করা হবে।

সারাদেশে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে কঠোর হতে ডিসিদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক মোকাবিলা করা একটা চ্যালেঞ্জ। মাদকের ভয়াবহতা সবাই উপলব্ধি করছেন। মাদকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা তিনভাবে ভাগ করে কাজ করছি। প্রথমত মাদকের চাহিদা কমানো। এক্ষেত্রে ডিসিদের ভূমিকা অনেক। তারা মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায় সব জায়গায় যেন তারা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মাদকের চাহিদা কমানোর কার্যক্রমে সরব থাকেন। এটা না করতে পারলে আমাদের ২০৩০ ও ২০৪১ সালকে নিয়ে যে স্বপ্ন তা হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমরা জেলখানাগুলো আধুনিকীকরণ করতে যাচ্ছি। আমাদের পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে একটা আধুনিক জগতে চলে গেছি।
সীমান্তের আট কিলোমিটারের মধ্যে যদি বিজিবি গুলি করে বা গুলির ঘটনা ঘটলে তদন্ত হয় না। এক্ষেত্রে তদন্ত কীভাবে হবে? ডিসিরা নির্বাহী তদন্ত চেয়েছেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটার ব্যাপারে সিনিয়র সচিব উত্তর দিয়েছেন। এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তারপর ব্যবস্থা নেবেন।

মিয়ানমার সীমান্তে একাধিকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আপনি ও সরকার বার বার দাবি করেছেন সন্ত্রাসবাদকে আপনারা নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু আমরা ভিডিওতে দেখলাম পাহাড়ে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে প্যারেড করা হচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এই পরিস্থিতি অনেকদিনের। এখানে অনেক দল-উপদল কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী শান্তিচুক্তি করেছিলেন। চুক্তি করার পরও কয়েকটি গোষ্ঠী অস্ত্র জমা কিংবা আত্মসমর্পণ না করে মাঝে-মধ্যে অতর্কিত চলে আসছে। তবে এর সঙ্গে সারাদেশে জঙ্গি উত্থানের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা জঙ্গি দমন করেছি। তবে শেকড় থেকে উঠিয়ে দিতে পারিনি। জঙ্গির সমতল থেকে পাহাড়ে চলে গিয়ে, সেখানকার লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে আমরা তাদের সেখানকার ঘাঁটিটাও বিনষ্ট করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা, জঙ্গি কিংবা আভ্যন্তরীণ কোনো সংকট এক বিষয় নয়। আমি সবসময় বলে এসেছি রোহিঙ্গারা যদি দীর্ঘদিন এখানে থাকে তবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রীও সেটা বলেছেন। তারা যেকোনো মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে প্রলুব্ধ হতে পারে। তাই তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন মিয়ানমারের ইয়াবা নামক মরণ-নেশা দেশে আনছে। রোহিঙ্গাদের অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। তাদের আমরা এক জায়গায় রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে তারা বাইরে চলে যাচ্ছে, নিজেরা খুনোখুনি করছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমাদের এপিবিএন ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় আছে। আমার মনে হয় সীমান্তের এক কোণে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো ঘটছে সেটার বিস্তার ঘটবে না।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ