পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের বহুমুখী কার্যক্রম সমন্বয় ও তত্ত¡াবধানকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনে বঙ্গভবনে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, নিজে দুর্নীতিমুক্ত থাকবেন এবং অন্যরাও যাতে দুর্নীতির সুযোগ না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। দুর্নীতিকে দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আশা করি আপনারা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব ও ক্ষমতার পার্থক্য সচেতনভাবে বজায় রাখবেন। জনকল্যাণে ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ডিসিদেরকে তাদের মেধা ও দক্ষতা ব্যবহার করার ও নির্দেশনা দেন আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশাত্মবোধ ও একাগ্রতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাবেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্রত্যাশা করেন, ২০৩০-এর মধ্যেই বাংলাদেশ এসডিজির সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত হবে। জেলা প্রশাসনের কর্ণধার ও সেবক হিসেবে জনগণের দোরগোঁড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার অর্পিত এ গুরুদায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার আহŸান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে ডিসিদের আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেন, জনগণের সেবা দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।এটাকে দয়া বা অনুগ্রহ মনে করার কিছু নেই। করোনাকালে ও পরবর্তীতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন আর্থিক ও প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানান। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যদ্রব্য, ভোজ্য তেল ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ জাতীয় জীবনে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সব সময়ই জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে সরকারি সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, ব্যয় সংকোচন এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে আপনাদের আরও যতœশীল হওয়ার অনুরোধ করছি। পরিবেশবান্ধব গ্রামোন্নয়নে আবাসন, শিক্ষা, কৃষিনির্ভর শিল্পের প্রসার, চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানীয় জল ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থার মাধ্যমে উপজেলা সদরে ও বর্ধিষ্ণু শিল্পকেন্দ্র গুলোকে আধুনিক শহর-উপশহর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ঘটাতে জেলা প্রশাসকদেরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। ভূমি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষ, আধুনিক, জনকল্যাণমুখী ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব ডিজিটাইজ সেবা নিশ্চিতকরণে ডিসিদের আরও বেশি কৌশলী ও তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন।এসব ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের আরও কঠোর হতে হবে। এসি ল্যান্ডসহ তৃণমূল পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় একটি উন্নত, আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহŸান জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে প্রেসিডেন্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ফটো সেশন ও চা-পানে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।