পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিন্দু হয়েও মুসলিম পরিচয়ে সখ্যতা। এরপর কিশোরীকে ধর্ষণ করে কারাবাস। অতঃপর জামিনে বেব হয়ে নাম বদলে পালিয়ে যান। ততদিনে তার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐের সাজা হয়ে যায়। এতো কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি সুপন চন্দ্র দেবনাথের (২৫)।
বুধবার রাতে কুমিল্লা শহরের ছাতিপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের খুলশী থানার একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ জানায়, বিগত ২০২০ সালের ২৯ জুন নগরীর লালখান বাজার টাংকির পাহাড়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, প্রতিবেশী মো. সবুজ তার কিশোরীকে মেয়েকে ধর্ষণ করে। মামলায় সবুজের বাবার নাম মো. আক্কাস ও মায়ের নাম শেফালী বেগম এবং জেলা ফেনী, থানা দাগনভ‚ঞা ও গ্রামের নাম মুন্সি বাড়ি উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষে খুলশী থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীতে আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেওয়া হয়। গত ১৬ অক্টোবর তার সাজা পরোয়ানা থানায় আসে। এরপর তার ঠিকানা ধরে তাকে গ্রেফতারে নামে পুলিশ। কিন্তু বর্তমান ও স্থায়ী- কোনো ঠিকানায় তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে পুলিশ নিশ্চিত হয় তার ঠিকানা ভ‚য়া। এরপর পুলিশ তার সম্ভাব্য ঠিকানা ও এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে তথ্য-প্রযুক্তি মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে। কুমিল্লা শহরের কোতোয়ালী মডেল থানার ছাতিপট্টি এলাকার জুয়েলারী মার্কেটে সাধন বাবুর স্বর্ণের দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে সে নারায়ণ চন্দ্র পরিচয়ে চাকরি করছিল। গ্রেফতারের পর বাদি তাকে মো. সবুজ হিসাবে শনাক্ত করেন। গ্রেফতারের পর সে জানায়, তার প্রকৃত নাম সুপন চন্দ্র দেবনাথ (২৫), পিতা-রাধা কৃষ্ণ দেবনাথ, মাতা-কানন বালা দেবনাথ, হেসাখাল গ্রামের রাখাল কবিরাজের বাড়ী, থানা নাঙ্গল কোট, জেলা কুমিল্লা। সে পেশায় একজন স্বর্ণের কারিগর। নোয়াখালী শহরে একটি স্বর্ণের দোকানে কাজ করার সময় পরিবারের সাথে অভিমান করে সে চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজারে চলে আসে। সেখানে মুসলিম পরিচয়ে চাকরি নেয়। এলাকায় ভুয়া নাম-ঠিকানা ও ভিন্ন ধর্ম পরিচয়ে অবস্থান করে। এক পর্যায়ে মামলার বাদীনি পক্ষের পরিবারের সাথে পরিচিত হয়।
এরপর ঘটে ধর্ষণের ঘটনা। ঘটনার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরও সে মামলা থেকে রেহাই পেতে ভুয়া নাম-ঠিকানা প্রদান করে। জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।