পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অভাবের সংসার। ছিলো না ঘর বসতি। খাবারও জুটতো না তিন বেলা। কয়েক বছর আগে জমি বর্গা নিয়ে স্বল্প পরিসরে তুলা চাষ শুরু করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। এমনটাই বলছিলেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক মতিলাল সিং। কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে তুলা চাষে ভাগ্য বদলে মতিলালের পাশাপাশি এই এলাকায় বাড়ছে তুলা চাষি ।
সরেজমিনে মতিলালের তুলা ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, সবুজে ঘেরা ফসলের মাঠে তুুলা গাছের বুক চিরে ফুটে উঠেছে ফুলের মতো সাদা-গোছা। স্ত্রী-ছেলেসহ দু-তিন দিন হলো তাঁরা ক্ষেত থেকে তুলা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। একসময় এসব জমিতে কলা, শাক-সবজি চাষ হতো। কিন্তু যে টাকা ব্যয় করে তারা এগুলো চাষ করতো তাতে কোনরকম খরচ উঠতো, তবে লাভের দেখা মিলতোনা। বিগত কয়েক বছর থেকে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় তুলা চাষ করে ব্যাপক লাভের দেখা মিলেছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে কম খরচে অধিক লাভবান মতিলালের মতো তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের কৃষক। কৃষিতে হাইব্রিড কার্পাস জাতের তুলা চাষ একটি নতুন সম্ভাবনা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে সরকারিভাবে সম্প্রসাারিত তুলা চাষ প্রকল্পে প্রণোদনা ও উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক তত্ত¡াবধানে চলতি মৌসুমে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার কার্পাস জাতের এই তুুলা মণ প্রতি ২’শ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৮’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক মতিলাল জানান, প্রতিবছরের ন্যায় উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সার, বীজ ও ঋণ সহায়তায় অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মণ তুলা সংগ্রহ করতে পারবেন তিনি। এবার তুলার ফলন ও মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনিসহ অন্য চাষিরাও ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। একই কথা বলছেন কৃষক কার্তিক সিং, বকুল হোসেনসহ অধিকাংশ তুলা চাষি। এক বিঘা জমিতে তুলা ৮ থেকে ১০ হাজার খরচ হলেও এক বিঘা জমির তুলা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় ।
উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিট অফিসার মো. আবু জুয়েল জানান,আবহাওয়া অনুকুল থাকায় চলতি মৌসুমে তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা যাতে উৎপাদিত তুলার ন্যায্যমূল্য পায় সে জন্য তুলার মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। এবার এই এলাকায় ৭০ বিঘা জমিতে কার্পাস হাইব্রিড জাতের তুলার চাষ হয়েছে। তুুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে তাদের উৎপাদিত তুলা ক্রয় শুরু হয়েছে। তুুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ২৪টি প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে হাইব্রিড উচ্চফলনশীল জাতের তুলা বীজ, সার, কীটনাশকসহ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। তুলা চাষ থেকে বিক্রি পর্যন্ত কৃষকদের সকল সহযোগীতা করছে স্থানীয় তুলা উন্নয়ন বোর্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।