Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাসা ভাড়ার কথা বলে খুন করা হয় সাংবাদিক আফতাবকে

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৩ এএম

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামি রাজু মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে এটিইউ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসা ভাড়ার কথা বলে ঘাতকরা সাংবাদিক আফতাব আহমেদের বাসায় প্রবেশ করে। এ ঘটনায় ঘাতকদের সহযোগিতা করেন সাংবাদিক আফতাবের গাড়িচালক হুমায়ুন কবির। পরে ঘাতকরা বাসায় প্রবেশ করে ডাকাতির চেষ্টা করলে সাংবাদিক আফতাব তাদের বাধা দেয়। এতে ঘাতকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারিধারায় এটিইউর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এসপি (ইন্টেলিজেন্স) হাসানুল জাহিদ।
তিনি বলেন, আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড পাওয়া পলাতক আসামি রাজু মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এটিইউর একটি দল। রাজু দীর্ঘ নয় বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতেন না।
তিনি বলেন, ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে রাজুসহ বেশ কয়েকজন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার বাসায় প্রবেশ করেন। বাসায় প্রবেশ করে তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার চেষ্টা করে। লুট করার সময় ঘাতকদের বাধা দেয় ও চিৎকার করতে থাকেন সাংবাদিক আফতাব। বাধা দেয়ায় ও চিৎকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঘাতকরা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ঘটনার পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের এক বছরের মাথায় রাজু মুন্সিসহ দুইজন জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন চলে যায়। পরে ২০১৭ সালে রাজুসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদÐ ও একজনকে সাত বছর কারাদÐ দেন আদালত। গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরার নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক আফতাব আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ পাঁচজনকে মৃত্যুদÐ ও একজনকে সাত বছরের কারাদÐ দেন ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার। মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- বিলাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপরজন সবুজ খানকে সাত বছর কারাদÐসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদÐ দেওয়া হয়।
সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়কার অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ