পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। আমি দেবী সরস্বতীর পূজা-অর্চনা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সবাইকে জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদ্রায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। এখন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
আমরা সব ধর্মের উৎসব সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাউকে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেব না। আগামী দিনে সব ধর্মের পারস্পরিক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি থাকে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা উদযাপন করবেন।’
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।