পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলার ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকের ইতিহাস। এরা পদে পদে আছে। এরা আমাদের মধ্যেই আছে। বিশ্বাসঘাতক আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে, আমরা জানি না। গতকাল বুধবার রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, বেহুলার বাসরঘরে ছিদ্র করে বিষাক্ত সাপ ঢুকিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই বিষাক্ত সাপ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বাসঘাতকদের জন্য এদেশে ওয়ান ইলেভেন হয়েছে। এদেশে ৭৫ সালে জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতকতা না করলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দুঃসাহস কারো হত না। আজকে আমরা নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত। আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটিও হয়েছে। কিন্তু আমাদের নেত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ এই বীরের দেশেই বিশ্বাসঘাতক আছে। বিএনপি যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তারা কোনদিন সফল হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকবে। দুর্যোগ, দুর্দশা, শীত, অতিমারি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঝড়, দুঃখ-কষ্টে মানুষের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা কেউ মানে? কেউ মানবে? বিএনপির দশ দফা ভুয়া, ৫৪ দল ভুয়া, ৫৪ দলের ৫৪ মতো, ৫৪ দলের ৫৪ পদ। তারা নাকি ১০ দফা করবে, ১০ দফা ভুয়া। ভুয়া কথা বাংলার জনগণ মানে না, মানবে না, মানতে পারে না। তিনি আরো বলেন, আসল খেলা ফখরুল আপনি এখনো দেখেননি। আন্দোলনের মাধ্যমে ১০ দফা উড়ে যাবে। আবারো নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসেন কি না, তা দেখার অপেক্ষায় আছি। আসল খেলা হবে নির্বাচনে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
এর আগে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাকশাল একদলীয় নয়, সব দল ও মত নিয়ে হয়েছিল জাতীয় দল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। এর প্রমাণ আছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কত হাঁকডাক, মির্জা ফখরুলের লালকার্ডের ফলাফল শ‚ন্য। বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটায় নেমে গেছে। তাদের কথা বিশ্বাস করে না এ দেশের জনগণ।
দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুল জলিলের ‘ট্রাম্পকার্ডের’ কথা তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ট্রাম্পকার্ডের ফলাফল কী হয়েছিল আপনারা সবাই জানেন। জলিল ভাইয়ের ট্রাম্পকার্ডের পর ফখরুল ইসলামের লালকার্ড ফলাফল শ‚ন্য... লালকার্ড ভুয়া... ভুয়া। সরকার পতন, ৫৪ দল, ১০ দফা, তত্ত¡াবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, ৭ দিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ।
বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা এখনও শুরু করিনি। খেলা শুরু করলে কোথায় যাবেন? তিনি বলেন, কোনও ব্যক্তি হঠাৎ বাঁশিতে ফু দিলেন, আর স্বাধীনতা চলে আসলো তা নয়, আচমকা আসমান থেকে স্বাধীনতা আবির্ভ‚ত হয়নি। স্বাধীনতার বীর বাঙালিরা হাজার বছর ধরে জীবন দিয়েছে এই স্বাধীনতার জন্য। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। কোনও কোনও রাজনৈতিক দল গণঅভ্যুত্থানের কথা বলে, এই দেশে গণঅভ্যুত্থান একবারই হয়েছিল। ৯০-এ যেটা হয়েছে সেটা গণআন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান না। এরশাদের ভিত দুর্বল ছিল বলে গণআন্দোলনে পদত্যাগ করেছিল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
নতুন সড়ক আর নয় : এদিকে অন্য একটি অনুষ্ঠানে (ডিসি সম্মেলন) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে নতুন করে আর কোনো সড়ক নির্মাণ করা হবে না। সড়ক তো অনেক হলো এবার সড়কে শৃংখলা ফেরাতে হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে হবে। এসময় সেতুমন্ত্রী পরিবহন নিয়ন্ত্রনে জেলা প্রশাসকদের দিক নির্দেশনা দেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন- মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। এগুলো নিয়ে বলার কিছু নেই। আমরা নির্বাচনের আগে নতুন করে আর রাস্তা দেব না। যে রাস্তা বিদ্যমান আছে, তা মেরামত করে ব্যবহারযোগ্য করতে হবে। সড়ক সংরক্ষণ করা হবে প্রথম ও প্রধান কাজ। তিনি বলেন, আমরা রাজধানীতে ছোট ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন নজর দিতে হবে জেলা শহরগুলোতে। গরীব মানুষের জীবিকার চাকা বন্ধ করা যাবে না। সেজন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটা নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে বলেছি। যতটা সম্ভব দ্রæত সময়ের মধ্যে এই ছোট যানবাহনগুলোর জন্য একটি নীতিমালা প্রনয়ণ করা। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।