পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদ নির্মূলে কোনো নাটক করা হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের এক আলোচনা সভায় রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গি আস্তায়নায় অভিযানসহ সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান প্রসঙ্গে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, উগ্রবাদ সভ্যতা ও মানবতার শত্রু এবং বিএনপি কখনো তা সমর্থন করে না। আপনি বলেছেন, জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে। তাহলে কাল (শনিবার) আশকোনায় কীভাবে জঙ্গির উৎপত্তি হলো? কীভাবে আত্মঘাতী হলো সেখানে এর আস্তানা কোথায়? নাকি ঘাঁটি ও আস্তানায় রাষ্ট্রের দিক থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে?
রিজভী বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে অনেক সন্দেহ চারিদিকে দানা বেঁধেছে। কল্যাণপুরের ঘটনা এলাকার লোকজন বলছে গোলাগুলি হলে তো দুই পক্ষের মধ্যে হবে। বিষয়টি সেরকম মনে হয়নি। হলি আর্টিসানের ঘটনা হয়তো সত্য ঘটনা। কিন্তু, বাকিগুলো নিজেদের (সরকার) জঙ্গিবাদ নির্মূলের মহানায়ক সাজানোর জন্য কোনো নাটক করা হচ্ছে কিনা- মানুষের মধ্যে এ সন্দেহ দানা বেঁধেছে। আপনারা বিরোধী দলকে কালিমা লিপ্ত করতে এই সমস্ত উগ্রবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন কিনা কিংবা দেখানোর জন্য নিজেরাই এসব করছেন কিনা এটাই এখন বড় প্রশ্ন। সুতরাং কোনো নাটক-রিহার্সেল না দিয়ে আসুন সবাই মিলে শান্তিপূর্ণভাবে যেকোনো অন্যায়-উগ্রতা মোকাবেলা করি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে ভোট দখল হল, পুলিশ সরাসরি সিল মারল। ভোটের আগের দিন আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারল না। অতীতের কোনো নির্বাচনই সুখকর হয়নি। যা হয়েছে সরকারের ইচ্ছায় হয়েছে। আমাদের কোনো দাবিই নির্বাচন কমিশন মানেনি। আজকে হঠাৎ নারায়ণগঞ্জে উদার হয়ে গেলেন, উদ্দেশ্য কী?
রিজভী বলেন, যাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান নেই তারাই সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের মাজার ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। কবর ধ্বংস করে মানুষের হৃদয় থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না। সকল ভয় উপেক্ষা করে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা ও খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।