পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে স্যাটেলাইট ফোন, হাই ফ্রিকুয়েন্সি সেটসহ বিপুল পরিমাণ অত্যাধুনিক অবৈধ কমিউনিকেশন ও র্যাডার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় ৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার গভীর রাত থেকে গতকাল (রোববার) ভোর পর্যন্ত পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকায় এ অভিযান চালায় র্যাব।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকশেন আইন অনুযায়ী স্যাটেলাইট ফোন, হাই ফ্রিকুয়েন্সি সেট (এইচএফ), ভেরি হাই ফ্রিকুয়েন্সি সেট (ভিএইচএফ) ইত্যাদি যন্ত্রপাতি সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে আমদানি, রফতানি, ক্রয়, বিক্রয়, সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। কারণ এই ধরনের প্রযুক্তিগত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিউনিকেশন ডিভাইস সাধারণ মানুষের হস্তগত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
র্যাব জানায়, মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন সিডিএ মার্কেটের উত্তর পাশে আব্দুল বারেক রোডে গোলাম মোস্তফা মার্কেটে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী উক্ত কমিউনিকেশন এবং নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে এ খবর পেয়ে বিটিআরসি এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় র্যাব কর্মকর্তা মেজর এস এম সুদীপ্ত শাহীনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ওই মার্কেটের হজরত শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ, সাকিব মেরিন ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, এস কে মেরিন, জুয়েল নূর ভবন এবং মা মেরিন ইলেকট্রনিক্সে তল্লাশী চালায়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৪টি স্যাটেলাইট ফোন, ১৩২টি রেডিও সেট, ২টি ফার্নো রেডিও এরিয়াল, ২টি জেআরসি র্যাডার এন্টেনা, ৩টি ট্রান্সমিশন ইউনিট, ৪টি ব্রিজ এ্যালার্ম, ৫টি রিসিভার, ১টি সেইলর সেট কমিউনিকেশন টার্মিনাল, ৮টি এন্টেনা, ৪টি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, ২টি জেআরসি প্রিন্টার, ২টি কি-বোর্ড, ৯টি হ্যান্ডসেট, ২২টি র্যাডার ডিসপ্লে, ৭টি ডোপলার লগ, ৭৬টি জিপিএস নেভিগেটর, ১১৭টি নেভটেক্স রিসিভার, ৭টি এআইএস, ৬টি ফার্নো এন্টেনা উইথ রিসিভার, ৪টি পাইরোটেকনিক আইটেমসহ বিপুলপরিমাণ কমিউনিকেশন এবং নেভিগেশনাল যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় হজরত শাহজালাল এন্ট্রারপ্রাইজের মালিক কুষ্টিয়ার খোকসা থানার আব্দুল জলিল শেখের পুত্র মো: শফিকুল ইসলাম (৪৫), এস কে মেরিনের মালিক কুমিল্লার বুড়িচং থানার শিবরামপুর গ্রামের ফখরুল আলমের পুত্র মো: শামছুল আলম (৫০), কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার শিমপুর গ্রামের মৃত মির মিয়ার পুত্র মো: লিটন (৪৫), জুয়েল নূর ভবনের মালিক মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার হারিদিয়া গ্রামের সুলতান শিকদারের পুত্র মো; জুয়েলকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত কমিউনিকেশন এবং নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।