পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ৩
বগুড়া অফিস : বগুড়ায় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে নকল তরল দুধ তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। রবিবার ভোরে সোনাতলা উপজেলার সিহিপুর মধ্যপাড়ায় ওই নকল দুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ বিপুল পরিমাণ তরল নকল দুধ ও এসব তৈরির কাজে ব্যবহৃত ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ ৩ জনকে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ পাবনার বেড়া উপজেলার নাকাইল্ল্যা গ্রামের সরজিত ঘোষ (২০), একই উপজেলার তটুরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান (২০) ও বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্ল্যা ঘোষপাড়ার সজীব ঘোষ (২২)।
পুলিশ জানায়, নকল দুধ তৈরির চক্রটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সোনাতলা উপজেলার সিহিপুরে আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে কারখানা চালু করে। এর প্রধান কারিগর ও মালিক পাবনার বেড়া উপজেলার সঞ্জিব ঘোষ। তার ভাই সরজিতসহ কয়েক জন ওই কারখানায় নকল দুধ তৈরি করে ব্র্যাকের স্থানীয় দুধ ক্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল। বাজার থেকে কিছু পরিমাণ গরু ও মহিষের দুধ কিনে এনে তা নকল দুধের সঙ্গে মেশানো হতো। আর নকল দুধ তৈরি করা হচ্ছিল পানি, সয়াবিন তেল, মারাত্মক ক্ষারক পারঅক্সাইড ও কয়েক ধরনের পাউডার। বাজার থেকে ২০ ভাগ গরু/মহিষের দুধ কিনে তাতে রাসায়নিক দ্রব্য, পানি ও সয়াবিন দিয়ে তৈরি নকল দুধ মিশিয়ে খাঁটি দুধ হিসেবে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটবাজার, হোটেল এবং ব্র্যাকের দুধ ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করা হচ্ছিল। পুলিশ বলছে, এই নকল দুধ বগুড়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে চক্রটি সরবরাহ করছিল। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা প্রতিদিন ৩শ’ থেকে ৫শ’ লিটার নকল দুধ বিক্রি করে আসছিল। এই নকল দুধ মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর এবং ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে পারে বলে বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। তিনি জানান, নকল দুধ তৈরিতে যে পারঅক্সাইড ব্যবহার করা হয় তা হাতে রাখলে ক্ষত সৃষ্টি হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম রবিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১শ’ কেজি নকল দুধসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি পারঅক্সাইড, আমদানি করা ২৫ কেজি এক ধরনের পাউডারভর্তি বস্তা, বিভিন্ন ধরনের পাউডার, সয়াবিন তেল, ৫টি ব্লেন্ডার মেশিন, বিভিন্ন সাইজের কন্টেইনার, জারকিন, গ্লুকোজ পাউডার, মিল্ক পাউডার ও অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল। পুলিশ জানিয়েছে, মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই নকল দুধ বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। এই চক্রটি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার দুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে নকল ও ভেজাল দুধ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।