Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে : ভোক্তা অধিকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ডলার সংকটে দেশে নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আদা, রসুন, হলুদ ও শুকনো মরিচ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, চাহিদার কারণেই রমজানের সময় মূল্য অস্থিরতা থাকে। এর সঙ্গে আরো কিছু কারণ আছে। সাধারণ মানুষ ধারণা করে যে রমজানে মনে হয় দাম বেড়ে যাবে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা একই সঙ্গে এক মাসের প্রচুর পরিমাণ পণ্য কিনে ফেলে রাখে। ফলে রমজানের আগের সপ্তাহ থেকেই বাজারে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়। একই সঙ্গে সবাই অনেক পণ্য কেনার কারণে স্বল্পতা বা আমাদের বিপণন ব্যবস্থায় একটা ঘাটতি থেকে যায়।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের গত দুই-তিন বছরে সমস্যা ছিল। এই বছর পেঁয়াজের সংকট প্রকট নয়। মূলত গত কোরবানির সময় পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা পার হয়ে যায়। তখন বাজারে যেভাবে অস্থিরতা শুরু হয়, বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। দাম বাড়ার একটা কারণ ছিল। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে যে আইপি ইস্যু করে সেটা সাস্পেন্ড (বন্ধ) ছিল। আমরা এই বিষয়টা জানার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানিয়েছি। এর ফলে গত জুন-জুলাই কোরবানির আগে আইপি কিন্তু খোলা ছিল। এ কারণে পেঁয়াজের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।
একই ধরনের আরও কয়েকটা পণ্য আছে, যেমন- আদা, রসুন, হলুদ ও শুকনো মরিচ। আমরা খেয়াল করলাম এই বাজারটা কেমন যেন একটু অস্থিরতা। পরে গত সপ্তাহে আমাদের টিম একটা কাজ করেছে। আমরা কাওরানবাজারসহ শ্যামবাজার পাইকারি, খুচরা এবং আড়তে একটু খোঁজ নিলাম। আন্তর্জাতিক এলসি খোলার বিষয়টা খোঁজ নিলাম। যেমন- আদা, রসুন, শুকনা মরিচ এবং হলুদ, এগুলো কিন্তু ইম্পোর্ট (আমদানি) নির্ভরতা আছে। সম্প‚র্ণভাবে দেশি উৎপাদন দিয়ে বাজার চালানো সম্ভব না। সেই ক্ষেত্রে এখানে যদি ইম্পোর্ট কমে যায় দেশীয় যে উৎপাদন সেখানে কিন্তু ঘাটতি পড়বে। সামনে রমজানের পরে কিন্তু কোরবানি। তাই এসব পণ্য যদি ইম্পোর্ট স্মুথ (সচল) না রাখতে পারি তাহলে স্থানীয় উৎপাদন দিয়ে এই বাজার ধরে রাখা যাবে না। তাই আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। ##

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ