পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ সেøাগান প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছেন, ওই দিন আইনজীবীদের ভাষা ছিল অশ্লীল। স্বল্প শিক্ষিত মানুষ, এমনকি কমলাপুরের কুলিরাও এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করেন না। বিচারকদের সঙ্গে অসদাচরণ করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমরা আইনজীবীদের সনদ আজীবনের জন্য বাতিল করতে পারি। আবার নমনীয়ও হতে পারি। এটিই আমাদের বার্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারকের বিরুদ্ধে সেøাগান দেয়ার ঘটনায় তলবকৃত ২১ আইনজীবী নেতার উদ্দেশে গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এর আগে গতকাল হাইকোর্টে সশরীরে হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির ২১ আইনজীবী নেতা। তারা হলেন, অ্যাডভোকেট মো: মফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো: জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো: আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো: ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো: মাহবুবুর রহমান, মো: আরিফুর হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো: জাকারিয়া আহমেদ, মো: মোবারক উল্লাহ, মো: ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।
শুনানির শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, আমরা সময় প্রার্থনা করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি ঘটনায় জারি করা রুলের বিষয়ে আমরা একসঙ্গে শুনানি করতে চাই।
তখন আদালত, বলেন, দুটো ঘটনা তো আলাদা। ওটা (আদালতের ভেতরের ঘটনা) ছিল বেয়াদবি। আজ যারা হাজির হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন অভিযোগ। তারা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন। এ সময় হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের শিক্ষানবীশ দুই আইনজীবীকে সামনে ডেকে পরিচয় জানতে চান।
তারা অবনত মস্তকে মৃদু স্বরে কথা বললে হাইকোর্ট বলেন, এখন এত নিচু স্বরে কথা বলছেন কেন? বিচারকের বিরুদ্ধে সেøাগানতো উঁচুস্বরে দিয়েছেন। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন। ম্যাট্রিক পাস মানুষও এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে না। এমনকি কমলাপুরের কুলিরাও এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে না। কোনো রাজনৈতিক দলের ভাষাও এমন হতে পারে না।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলতে চান। যারা আদালত অবমাননা করে, আদালতের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে আপনারা যখন তাদের পক্ষে আসেন, তখন আমরা লজ্জ্বিত হই।
এ সময় বার সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল বলেন, সেদিনের প্রকৃত ঘটনা কী ছিল আমরা ব্যাখ্যায় আদালতের কাছে তা তুলে ধরব। তখন হাইকোর্ট বলেন, আপনারা কি কনটেস্ট করতে চাইছেন?
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি বলেন, জুডিশিয়ারি আমাদের সবার। জুডিশিয়ারির মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের সবার। আদালত বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগের অভিভাবক। আইনজীবীদেরও অভিভাবক। আপনাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্বও আমাদের। এ সময় হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের অবস্থা জানতে চান। তখন আইনজীবী নেতারা বলেন, এখন আদালত ভালোভাবে চলছে। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাব। সবার সঙ্গে কথা বলে সম্মানজনক সমাধানের চেষ্টা করব।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারকের বিরুদ্ধে সেøাগান দেয়ার ঘটনায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, এই মামলায়ও সময় দেয়া প্রয়োজন। তাহলে এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব। প্রয়োজনে সবাই আমরা যাব। সবার সঙ্গে বসব। পরে আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন ১৯ ফেব্রæয়ারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।